ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে মিশাল মালিককে। তিনি ভারতের কারাগারে বন্দি কাশ্মিরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের স্ত্রী। কাশ্মিরি পর্যবেক্ষকদের মতে, বর্তমান সময়ে মিশাল মালিকের নিয়োগ নিষ্প্রয়োজন।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক জেকেসিএইচআর এনজিও-এর সভাপতি ড. সৈয়দ নাজির জিলানি বলেন, এ সিদ্ধান্ত নিরীহ কাশ্মিরিদের জন্য অনুচিত। মিশাল ও সাধারণ কাশ্মিরিদের মধ্যে অনেক দূরত্ব রয়েছে।
পিওকেতে (পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর) জেকেএলএফ (জম্মু ও কাশ্মির লিবারেশন ফ্রন্ট) ক্যাডার তার নিয়োগকে স্বাগত জানাননি এবং আইএসআই থেকে দূরত্ব বজায় রাখছেন। কাশ্মিরি বিশেষজ্ঞদের মতে, কাশ্মির উপত্যকায় জেকেএলএফ সদস্যরাও কাশ্মিরি নীতিতে পাকিস্তানের ইচ্ছা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
আইএসআই এর সংকীর্ণ কূটনৈতিক মনোভাব কাশ্মির উপত্যকায় জেকেএলএফ এর উদ্যোগকে ব্যর্থ করে দেয়। আইএসআই ইয়াসিন মালিকের উপর থেকে আস্থা হারিয়েছে। ফলে ইয়াসিন মালিক জেকেএলএফ থেকেও তার ক্ষমতা হারান। ইয়াসিন মালিকের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত যুক্তরাষ্ট্রের আলতাফ কাদরি সংগঠনের মধ্যকার মতপার্থক্যের কারণে গত ১৫ জুলাই জেকেএলএফ ত্যাগ করেন।
১৯৭৭ সালের ২৯ মে, ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে গঠিত হয় জেকেএলএফ। এ বিষয়ে আলতাফ কাদরি বলেন, যেকোনও সংঘাতই রাজনৈতিক নেতাদের সমঝোতা ছাড়া শেষ হয় না। এক্ষেত্রেও কাশ্মিরি এবং ভারত সরকার একজোট হয়েই কোনও সিদ্ধান্ত নিবেন। তবে পাকিস্তান এক্ষেত্রে শান্তি স্থাপনের জায়গাটা হারিয়েছে এবং এর দায় পাকিস্তান সরকারকে গ্রহণ করতেই হবে।
মিশাল মালিকের ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কূটনীতিক রাজা মুজাফফর বলেন, আইএসআই এর মতো পাকিস্তানি সংস্থা কাশ্মিরের শুধু ক্ষতিই করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে জেকেএলএফ তাদের ক্ষতিপূরণের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে চলেছে।
তবে এটাও স্বীকার করা উচিত যে, তথাকথিত স্বাধীনতা সংগ্রাম এখন তার নীতি থেকে বিচ্যুত হয়েছে। জেকেএলএফ এ অভ্যন্তরীণ কলহ এ সংগঠনের নিয়ম নীতির বিচ্ছেদ ঘটিয়েছে।
জেকেএলএফ কাশ্মিরিদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য একটি প্রতিনিধি সিনেট তৈরি করার ব্যাপারে কেজিসিকে সমর্থন প্রদানের আশ্বাস দিয়েছে। জেকেএলএফ এবং কেজিসি কাশ্মির সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের ধারণা প্রচারের জন্য একযোগে কাজ করে যাবে।
আর.এইচ/ আই.কে.জে/
খবরটি শেয়ার করুন