বুধবার, ৩রা জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন : জনঘনিষ্ঠ, বিতর্কমুক্ত নেতারাই পাবেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন

বিশেষ প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ১২:৩৬ অপরাহ্ন, ২৮শে এপ্রিল ২০২৩

#

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থীদেরকেই মনোনয়ন দেবে আওয়ামী লীগ। সে পরিপ্রেক্ষিতে যোগ্য প্রার্থী খুঁজে বের করার জন্য বেশ কিছু জরিপ চালাচ্ছে দলটি।

উদাহরণস্বরূপ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কথাই ধরা যাক। আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গাজীপুর ও বরিশালের বর্তমান মেয়রদের বাদ দিয়ে দুইজন নতুন মুখকে মনোনয়ন দিয়েছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

অদক্ষতার পরিচয় দিয়ে দলের ক্ষতি করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নে, বরিশালের মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ এবং বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।

সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মনোনয়নের মাধ্যমেই দলের সভাপতি এই বার্তা দেন যে, দলীয় নেতাদেরকে তাদের দক্ষতা অনুযায়ীই মনোনয়ন প্রদান করা হবে।

জনগণের জন্য যিনি কাজ করেন, নিজ নিজ এলাকার রাজনৈতিক দল ও জনগণের কাছে সমানভাবে জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদেরকেই আসন্ন নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার টিকেট প্রদান করা হবে।

গত সপ্তাহে, এক সভায় দেওয়া ভাষণে দলের কর্মীদের একে অপরের বিরুদ্ধে কথা বলতে এবং আলাদা আলাদা দল গঠন করতে নিষেধ করেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, তিনি নিজে মনোনয়ন দেবেন। তাই কর্মীদের উচিত একে অপরের বিরুদ্ধে কথা না বলে নিজ নিজ এলাকায় কল্যাণমূলক কাজ করা এবং সরকারের সাফল্যের গল্প সকল নাগরিকদের সামনে তুলে ধরা।

বর্তমান মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের মধ্যে যারা নিজেদের অপকর্মের মাধ্যমে দলের বদনামের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন তাদের এবার টিকেট প্রদান করা হবে না বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সিনিয়র নেতা জানান, দলের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনে বিভিন্ন জরিপ চালিয়ে যাচ্ছেন। অপকর্মে লিপ্ত, অজনপ্রিয় নেতাদের এবার মনোনয়ন প্রদান করা হবে না।

জানা যায়, অসংখ্য আইনপ্রণেতারাই বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িয়ে আছেন। এমনকি স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নেতা এবং কর্মীদের মধ্যেও দূরত্ব তৈরি করেছেন তারা।

যোগ্য, জনগণের জন্য নিবেদিতপ্রাণ, সৎ এবং জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রার্থীদেরকেই খুঁজছে আওয়ামী লীগ। 

আসন্ন নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সংস্থার মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীদেরকে খুঁজে বের করছেন দলের সভাপতি। 

আগামী নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখছেন শেখ হাসিনা। ইতিমধ্যে তিনি দলের নেতাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকা পরিদর্শন করতে এবং ভোটারদের সাথে সম্পর্ক মজবুত করতে। তবে এবার শুধুমাত্র মুখের কথা শুনেই নির্বাচনে মনোনয়ন প্রদান করা হবে না বরং এলাকায় যারা যোগ্য ও জনপ্রিয় নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন তাদেরকেই মনোনয়ন প্রদান করা হবে। 

আগামী বছরের জানুয়ারি মাসেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

সব রাজনৈতিক দলকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতিও প্রদান করেছে নির্বাচন কমিশন। 

তবে ইসির আশ্বাস সত্ত্বেও, বর্তমান ইসি ও সরকারের অধীনে যে কোনও নির্বাচন বর্জন করবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সহ কয়েকটি বিরোধী দল। তারা নির্বাচনের সুষ্ঠুতা তদারকির জন্য বাতিলকৃত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান পুনর্বহাল করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানায়।

আই.কে.জে/

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন

খবরটি শেয়ার করুন