শুক্রবার, ১০ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৫শে আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** মাহফুজ-সারজিসরা গণ–অভ্যুত্থানের প্রকৃত নায়ক নন, যা বললেন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম *** মানুষের শরীরে শূকরের যকৃৎ, চীনা চিকিৎসকদের সাফল্য *** দায়মুক্তি পাচ্ছেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৮টি ধারার মামলার আসামিরা *** নোবেল না পেলে ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া কী হবে—শঙ্কিত নরওয়ে *** অবশেষে গাজায় শান্তির আভাস, শান্তিচুক্তি সই *** সেফ এক্সিটকে সন্দেহের চোখে দেখছে বিএনপি, বিব্রত কোনো কোনো উপদেষ্টা *** থেমেছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান–কামানের গর্জন, ২ বছর পর শান্তির ঘুমে গাজাবাসী *** জামায়াতে ৪৩ শতাংশ নারী—এটা খুশির খবর, কিন্তু তাদের দেখা যায় না: শারমীন মুরশিদ *** তহবিলসংকটের কারণে এক-চতুর্থাংশ শান্তিরক্ষী কমাচ্ছে জাতিসংঘ *** খালেদা জিয়ার সেফ এক্সিটের দরকার পড়েনি: রিজভী

ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে আম খাওয়া কি ঠিক?

স্বাস্থ্য ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:২০ অপরাহ্ন, ৬ই মে ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত।

গ্রীষ্মকাল মানেই আমের মৌসুম। এই ঋতুতে সবাই প্রচুর পরিমাণে আম খান। এই ফলটি শুধু সুস্বাদুই নয়, শরীরের জন্যও উপকারী। কিন্তু কারও শরীরে যদি উচ্চ ইউরিক অ্যাসিড থাকে তাহলে আম খাওয়া কি ঠিক?

অনেকের মতে, আমে ভালো পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। আর ইউরিক অ্যাসিড থাকলে বিপাকক্রিয়া দুর্বল হয়ে পড়ে। এ কারণে ইউরিক অ্যাসিড থাকলেও আম খাওয়া উপকারী।  আবার অনেকের মতে, আমে থাকা অন্যান্য উপাদান ইউরিক অ্যাসিড রোগীদের জন্য উপকারী নাও হতে পারে। ভারতের লখনউয়ের পুষ্টিবিদ অশ্বনী এইচ. কুমার উচ্চ ইউরিক অ্যাসিড থাকলে আম খাওয়া উচিত কিনা তা জানিয়েছেন ইন্ডিয়া টিভির এক প্রতিবেদনে।

পুষ্টিবিদ অশ্বনীর মতে, আমে চিনির পরিমাণ বেশি এবং তাই এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে পারে। এ কারণে যখন প্রচুর আম খাওয়া হয়, তখন এতে উপস্থিত ফ্রুক্টোজ শুধু রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না বরং ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাও বাড়ায়। যার ফলে লিভারের সমস্যা এবং গাউটের ব্যথা আরও বাড়তে পারে।

আরো পড়ুন: কাঁচা আমের অনেক গুণ!

তিনি জানান, একজন গাউট রোগীর শরীরে ফ্রুক্টোজ বাড়লে তা বিপজ্জনক হতে পারে কারণ শরীর যখন ফ্রুক্টোজ ভেঙে দেয়, তখন পিউরিন নিঃসৃত হয়। পিউরিন বেড়ে গেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ে। ফলে শরীরের প্রদাহ এবং ব্যথা আরও বেড়ে যায়।

পুষ্টিবিদদের মতে, আম একটি মৌসুমি ফল এবং এটি খাওয়াও কিছু দিক থেকে উপকারী। কিন্তু কারও যদি ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকে, তাহলে সীমিত পরিমাণে আম খাওয়া উচিত। সপ্তাহে মাত্র ২ বার তাও অল্প পরিমাণে খাওয়া উচিত। ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে আম খাওয়া ক্ষতিকারক। এতে গাউটের সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

এমএইচডি/ আই. কে. জে/

গ্রীষ্মকাল আম ইউরিক অ্যাসিড মৌসুমি ফল

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250