শনিবার, ২রা আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** আমেরিকার বাজারে শুল্ক কমেছে, বাংলাদেশে স্বস্তি *** ফল দেখলেই বুঝবেন, কাজটা ঠিক হয়েছে কী না: খলিলুর রহমান *** ইনার হুইল ক্লাবের উদ্যোগে দরিদ্র ছাত্রীদের জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে টিকা দান *** চোরা শিকার রুখতে গন্ডারের শিংয়ে তেজস্ক্রিয় পদার্থ! *** দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম, এখানে সাম্প্রদায়িকতার জায়গা নেই: জেড আই খান পান্না *** বাংলাদেশের জন্য পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করল আমেরিকা *** জিম্বাবুয়েকে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে বাংলাদেশ *** মেসির কারণেই সেদিন চুপ ছিলেন উরুগুয়ের ফুটবলার *** সাংবাদিক হত্যা মামলার আসামি চেয়ারম্যান পদ ফিরে পাওয়ায় বকশীগঞ্জে বিক্ষোভ *** গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত ভর্তি শুরু ৩রা আগস্ট

ইসরায়েলকে যুদ্ধ বন্ধের অনুরোধ করলো অস্ট্রেলিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:২৯ অপরাহ্ন, ২৬শে অক্টোবর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি উভয় রাষ্ট্রকেই অনুমোদন দেয়। আমরা মনে করি, এটিই একমাত্র পথ যা ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তা দেবে।’

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং ইসরায়েলকে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি ফিলিস্তিনের বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক পরিস্থিতিকে 'ভয়াবহ' হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

গতকাল বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং গণমাধ্যমকে বলেন, 'আমরা জানি গাজার মানবিক পরিস্থিতি ভয়াবহ। আমরা জানি যে সেখানে ব্যাপক দুর্ভোগ আছে। আমরা ধারাবাহিকভাবে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা ও গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের আহ্বান জানাচ্ছি।' অস্ট্রেলিয়ায় ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত আমির মাইমন দেশটির জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওং এই মন্তব্য করেন।

অস্ট্রেলিয়ায় ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গাজার মানবিক পরিস্থিতিকে 'ন্যায্য' হিসেবে দাবি করে বলেছেন যে তার দেশ লেবাননে সঙ্গে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। বর্তমানে লেবাননে প্রায় ১৫ হাজার অস্ট্রেলিয়ান আছে। সেখানে ইসরায়েলের হামলা বিষয়ে অস্ট্রেলিয়া উদ্বিগ্ন।

আরো পড়ুন : জাতিসংঘকে ‘শিক্ষা’ দিতে চায় ইসরায়েল

ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেসের পদত্যাগও দাবি করেছেন। গুতেরেস বলেছিলেন যে ইসরায়েলের ওপর হামাসের হামলা 'শূন্য থেকে ঘটেনি' এবং ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা যুদ্ধাপরাধ।

ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের বলেন, 'অনুগ্রহ করে ২২২ ইসরায়েলি যাদের অপহরণ করা হয়েছে, যাদেরকে ছিনতাই করা হয়েছে তাদের মানবিক অবস্থার পরিস্থিতি সম্পর্কে আমাদের উদ্বেগও তুলে ধরতে দিন। তাদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি আছেন।'

তিনি আরও বলেন, 'গাজায় ক্রমবর্ধমান মৃতের সংখ্যা সত্ত্বেও আপনারা সংখ্যা দ্বারা বৈধতা পরিমাপ করবেন না।' গাজায় ইসরায়েলের স্থল অভিযানের পর মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বলেছেন, 'আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি উভয় রাষ্ট্রকেই অনুমোদন দেয়। আমরা মনে করি, এটিই একমাত্র পথ যা ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তা দেবে।'

অস্ট্রেলিয়ান প্যালেস্টাইন অ্যাডভোকেসি নেটওয়ার্কের সভাপতি নাসের মাশনি জোর দিয়ে বলেছেন যে ক্যানবেরার প্রায় অর্ধেক আয়তনের এলাকায় ২০ লাখ মানুষ আটকা পড়েছে। প্রায় ১০ লাখ মানুষকে দক্ষিণে সরে যাওয়ার বা সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচিত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি এসবিএস নিউজকে বলেছেন, 'ইসরাইল দখলদার শক্তি। আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে এটি একটি দখলকারী শক্তি। প্রায় ২০ লাখ মানুষের গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ও ওষুধ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এদের অর্ধেকের বয়স ১৮ বছরের কম। এটি যুদ্ধাপরাধ।'

এস/ আই. কে. জে/

অস্ট্রেলিয়া ইসরায়েল-ফিলিস্তিন

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন