বৃহস্পতিবার, ৯ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** রাজশাহীতে আ.লীগ নেতার তিন ছেলে-মেয়ের জামিন *** খাগড়াছড়িতে ধর্ষণ ও হামলার ঘটনায় আজ তথ্যানুসন্ধান দল পাঠাচ্ছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি *** শ্রমবাজার সম্প্রসারণে ভিসা জটিলতা দূর করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার *** ৭ বছর পর জিয়াউর রহমানের সমাধির পাশে খালেদা জিয়া *** একাধিক দেশের পাসপোর্টধারী ও নাগরিক বলে কাকে ইঙ্গিত করলেন উপদেষ্টা *** তেজগাঁওয়ে হোলি রোজারি চার্চের সামনে বুধবার যা ঘটল *** ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠান বন্ধের চেষ্টা, পুলিশের হস্তক্ষেপ *** দুদকের মামলার আসামি হওয়ার একদিন পর ট্রাইব্যুনালের ‘বিচারক’ *** ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের বক্তব্য ‘অযৌক্তিক’: তৌহিদ হোসেন *** ১৫–১৮ই নভেম্বরের মধ্যে গণভোট সম্ভব, হিসাব দিলেন জামায়াত নেতা তাহের

এপিএস মামুনই এডিসি হারুনের ওপর প্রথম হামলা করেন: ডিবি প্রধান

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৬:৪১ অপরাহ্ন, ১২ই সেপ্টেম্বর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের ওপর প্রথমে হামলা চালিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হক মামুন। এমন অভিযোগ উঠেছে বলে দাবি করছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডিবি কম্পাউন্ডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ডিবি প্রধান বলেন, উনি (এপিএস মামুন) একজন সরকারি কর্মকর্তা। পুলিশের ওপর প্রথম হামলাটা তিনিই করেছিলেন। তিনি ইচ্ছা করলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারতেন। অথবা তারও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ছিল তাদের অবহিত করতে পারতেন। কিন্তু উনি তা না করে হাসপাতালের ভেতরে অসুস্থ মানুষের সামনে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে ধাওয়া করেন। তার চশমা ভেঙে ফেলেন, তার ওপর আঘাত করেন। এটা সঠিক করেছেন কি না তা আমি জানি না, তবে এর তদন্ত হওয়া উচিত।

থানায় নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের নির্যাতনের ঘটনার সূত্রপাত বারডেম হাসপাতাল থেকে বলে জানান তিনি।

ডিবি প্রধান বলেন, পুলিশ কখনো ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ডের দায় নেয় না। আমি মনে করি এ ঘটনায় স্বাধীনভাবে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেবেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি সঠিকভাবে ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে তদন্ত করছে। তদন্ত প্রতিবেদন শিগগির দেবে। তখন আসল ঘটনা জানতে পারবো আমরা।

এর আগে ৯ সেপ্টেম্বর রাতে শাহবাগ থানায় নিয়ে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে।

আহত দুই নেতা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম, বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ।

এ ঘটনার জেরে রাতেই শাহবাগ থানার সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভিড় করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও পুলিশের কর্মকর্তারা থানায় গিয়ে মধ্যরাতে মীমাংসা করেন।

ছাত্রলীগের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এডিসি হারুন ৯ সেপ্টেম্বর রাতে এক নারীর সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন। সে সময় ওই নারীর স্বামী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান এবং তাদের দুজনকে একসঙ্গে পান।

সেখানে ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে এডিসি হারুনের বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। পরে পুলিশ ফোর্স নিয়ে এসে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে বেদম মারধর করেন এডিসি হারুন অর রশিদ।

সেদিনের ভয়াবহ নির্যাতনের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে আনোয়ার হোসেন নাঈম গণমাধ্যমকে জানান, এডিসি হারুনের সঙ্গে তার কোনো ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল না। রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব আজিজুল হক মামুন তার এলাকার বড় ভাই। তাদের বাড়ি গাজীপুরে। মামুনের ফোন পেয়ে থানায় যান নাঈম। থানায় গিয়ে ওসি-তদন্তের কক্ষে প্রবেশ করে ছাত্রলীগের পরিচয় দেওয়ার পরপরই এডিসি হারুন তার ওপর হঠাৎ আক্রমণ করেন। মোস্তফা নামে একজন তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন, তিনিও অনেক মারধর করেন। একপর্যায়ে মারতে মারতে অজ্ঞান করে ফেলেন। নিচে পড়ে যাওয়ার পর অস্ত্রের বাট দিয়ে ঠোঁট থেতলে দেওয়া হয়। ছাত্রলীগ পরিচয় দেওয়ার পরই মূলত এডিসি হারুন বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।

আর.এইচ/ আই.কে.জে/

ডিবিপ্রধান হারুন

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250