ফাইল ছবি
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে চারদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ২৫ টাকা কমেছে। আগে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হলেও এখন ৯৫ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এককেজি পেঁয়াজ।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। আমদানি করায় পেঁয়াজের দাম কমেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একমাস আগে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৭০ টাকায়। হটাৎ দাম বেড়ে তা হয় ১২০ টাকা। গ্রামীণ দোকানগুলোতে ১৩০ টাকাও কেজি বিক্রি হয়েছে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষকে হিমশিত খেতে হয়েছে। এখন ৯০ থেকে ১০০ টাকা হলেও গ্রামের দোকানে এখনো ১২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মিরসরাই পৌর সদরের মোজাম্মেল স্টোরের স্বত্তাধিকারী মো. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা করে। আমরা গত চারদিন ধরে ৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। এর আগে কিছুদিন প্রতি কেজি ১১৫ টাকায় বিক্রি করেছি।
কমলদহ কামাল স্টোরের স্বত্তাধিকারী মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা আড়ত থেকে আরও ১০ দিন আগে পেঁয়াজ এনেছি। দাম বেশি পড়েছে। এখন প্রতি কেজি ১০০ টাকায় বিক্রি করছি।
তবে কেজিতে ২৫ টাকা কমলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে দাবি করেছেন একাধিক ক্রেতা।
বড়দারোগাহাট বাজারে আসা ক্রেতা শফিউল্লাহ বলেন, প্রতি কেজি পেঁয়াজ এক মাস আগে ছিল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। হটাৎ দাম বেড়ে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা হয়েছে। সরকার পেঁয়াজ আমদানি করার পর দাম কমেছে ২৫ টাকা। কিন্তু এক লাফেতো কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে। কোনো পণ্যের দাম একবার বাড়লে তা সহজে কমে না।
বড়তাকিয়ায় বাজার করতে আসা ইমাম হোসেন অভিযোগ করে বলেন, গ্রামের দোকানগুলোতে এখনো ১২০ টাকা করে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। অথচ বাজারে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
মিরসরাই সদরে বাজার করতে আসা মোহাম্মদ রিপন বলেন, আলু-পেঁয়াজের দামে কিছু স্বস্তি এসেছে। তবে অন্যান্য জিনিসের দাম কমছে না। চিনির দাম আবারো বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, পেঁয়াজের দাম আরও কমানো প্রয়োজন। একেক দোকানে একেক দামে বিক্রি হচ্ছে। এগুলোর বিষয়ে প্রশাসনের তদারকি প্রয়োজন।
কাটাছড়া ইউনিয়নের এছাহাক ড্রাইভার হাটের ব্যবসায়ী নুরুল মোস্তফা বলেন, আমরা সপ্তাহে একবার মিঠাছড়া গিয়ে পাইকারিভাবে পেঁয়াজসহ বিভিন্ন পণ্য কিনে আনি। দাম কমানোর পর এখনো নতুন করে আনা হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আগের মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে। তা নাহলে আমাকে লোকসান গুনতে হবে।
মিরসরাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমান বলেন, সরকার পেঁয়াজ আমদানির পর দাম কমেছে। কোনো ব্যবসায়ি যদি অতিরিক্ত দামে বিক্রি করেন, অভিযান পরিচালনা করে ক্রয়ের রশিদ দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।