ছবি: সংগৃহীত
কাশ্মীরের উত্তরে অবস্থিত বাঙ্গুস উপত্যকা মনোরম পরিবেশে বিপুল পর্যটকদের আগমনের সাক্ষী হয়ে আছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি পুনর্নবীকরণের পর থেকে সীমান্তে শান্তি বিরাজ করছে। বর্তমানে এসব অঞ্চলে নাইট ক্যাম্পিং, ট্র্যাকিং এর মতো কার্যক্রমগুলোর অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।
বাঙ্গুস উপত্যকার সৌন্দর্য পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে সমর্থ হয়েছে। এখানকার কর্তৃপক্ষও এর সৌন্দর্য রক্ষার্থে বিশেষ যত্নশীল। এ উপত্যকার যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
গত তিন দশক ধরে, পাকিস্তান সীমান্তের কাছে অবস্থিত কুপওয়ারা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন ও ভারী গোলাবর্ষণের কারণে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে ছিল। এখানকার সীমান্তবর্তী বাসিন্দারা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হান্দওয়ারার বাসিন্দা, বেনিশ বাটুল বলেন, বাঙ্গুস প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকা এক অপরূপ জায়গা। এখানের জলপ্রবাহের শব্দ হৃদয়কেও প্রশান্তি দেয়৷ গুলমাগ, পেহেলগামের মতো আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্থান হওয়ার জন্য এ উপত্যকা সবদিক থেকেই শ্রেষ্ঠ। তাই এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের বিশেষ নজর প্রদান করা উচিত।
আরো পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ব্লু প্যান্সিকে সরকারি প্রজাপতি ঘোষণা
পুঞ্চের বাসিন্দা আফতাব আহমেদ বাঙ্গুস উপত্যকা ভ্রমণ করে এ অঞ্চলকে স্বর্গের সাথে তুলনা করে বলেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি এ অঞ্চল। তবে এ অঞ্চলের সৌন্দর্য যেন নষ্ট না হয় এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি।
আফতাবের মতো আরো অনেক ভ্রমণকারীও জানান, এ অঞ্চলের সৌন্দর্য রক্ষার্থে সকলকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে।
এম এইচ ডি/ আই. কে. জে/