ছবি : সংগৃহীত
দেশের নাগরিকদের প্রয়োজনীয় খাদ্যের যোগান দিতে এবং দেশের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে সরকারি মালিকানাধীন জমিগুলোকে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।
দেশের রাজনীতি ও পররাষ্ট্রনীতিতে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করার পর এবার কৃষিক্ষেত্রেও নিজেদের প্রভাব বিস্তারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী, যা ইতিমধ্যে দেশের জনগণের মনে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তান সেনাবাহিনী পূর্ব পাঞ্জাব প্রদেশের ১০ লাখ একর বা ৪ লক্ষ ৫ হাজার হেক্টর জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চোলিস্তান মরুভূমিতে অবস্থিত এ জমিগুলো মূলত শুষ্ক প্রকৃতির এবং জলের অভাবও এখানে দৃশ্যমান।
জানা যায়, জমিটি ৩০ বছরের জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে বন্ধক দেওয়া হবে। সেনাবাহিনী এখানে গম, তুলা এবং আখের মতো অর্থকরী ফসল এবং কিছু শাকসবজি ও ফলের চাষ করবে। লাভের ২০ শতাংশ দেশের গবেষণা ও উন্নয়নের কাজে ব্যয় করা হবে। বাকি অর্থ সেনাবাহিনী এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে সমানভাগে বিভক্ত হবে।
সমালোচকদের দাবি, এতসব জমি সেনাবাহিনীকে বন্ধক হিসেবে দেওয়া হলে দেশের বৃহত্তর পরিমাণের জমির মালিক হিসেবে সেনাবাহিনী নিজের স্থান দৃঢ় করে নিবে। তাদের দাবি, এ জমিগুলো সেনাবাহিনীকে প্রদানের পরিবর্তে ২৫০ লাখ দরিদ্র নাগরিকদের চাষের জন্য দেওয়া যেতে পারে।
জমি হস্তান্তর স্থগিত করার জন্য লাহোর হাইকোর্টে মামলা করে এ সিদ্ধান্ত স্থগিত করার চেষ্টা করা হলেও শেষ রক্ষা হয়নি।
২৫ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে, সামরিক বাহিনীর মিডিয়া উইং এবং ইন্টার-সার্ভিস পাবলিক রিলেশন্সের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরীকে কর্পোরেট ফার্মিং প্রকল্প সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা পাকিস্তানের জন্য এখন অনেক বড় একটি চ্যালেঞ্জ। উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশগুলো কৃষিখাতের উন্নয়নে তাদের সামরিক বাহিনীকে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করছে।
তবে জমিগুলোকে চাষযোগ্য করে তোলার জন্য সামরিক বাহিনীর ভূমিকা সম্পর্কিত সকল ধরনের সিদ্ধান্ত প্রাদেশিক এবং ফেডারেল সরকারই গ্রহণ করবে।
এসকে/ এএম/