ছবি: সংগৃহীত
শুধু গরমেই নয়, প্রতিটি ঋতুতেই ফলের রস পান করা শরীরের জন্য উপকারী। তবে, গ্রীষ্মে ফলের রস খাওয়া বেড়ে যায়। গরমে শরীরের পানিশূন্যতা দূর করতে ও শক্তি জোগাতে ফলের রসের তুলনা নেই। ফলের রসকে পুষ্টির ভাণ্ডার বলা হয়। এতে অনেক ধরনের ভিটামিন, খনিজ, কার্বোহাইড্রেট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়।
ফলের মধ্যে পাওয়া স্বাস্থ্যকর চর্বি হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখে। পুষ্টিবিদদের মতে, ফলের রস উপকারী, তবে ফলের রসে ফাইবার এবং কিছু মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট থাকার কারণে এটি অতিরিক্ত পান করা ক্ষতি হতে পারে।
আরো পড়ুন: জেনে নিন শসার নানা উপকারিতা
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রীষ্মে, অতিরিক্ত জুস পান করা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। এ কারণে সঠিক সময় জেনে এবং সঠিক পরিমাণে জুস পান করা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তাদের ভাষায়, জুসে প্রচুর ক্যালরি পাওয়া যায়। এক কাপ রসে ১১৭ ক্যালরি এবং প্রায় ২১ গ্রাম চিনি পাওয়া যায়। এতে ফ্রুক্টোজ বেশি থাকে। এ কারণেই অতিরিক্ত জুস পান করলেও শরীরে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা বলেন, যেহেতু ফলের রসে চিনি বেশি পাওয়া যায় এজন্য অতিরিক্ত পান করলে সুগার বাড়তে পারে। বেশি ফলের রস পানে ডায়াবেটিসের সমস্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অতিরিক্ত ফলের রস পান করলে দাঁতে কৃমিও হতে পারে। এটি লিভারকে সঠিকভাবে হাইড্রেট রাখে না। এ কারণেই গ্যাস্ট্রিক রোগীদের জন্য অতিরিক্ত ফলের রস পান খুবই ক্ষতিকর।
অনেকে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর জুস পান করেন। কেউ কেউ আবার রাতে ঘুমানোর আগেও জুস পান করেন। কিন্তু, এটা ঠিক নয়। সকাল সকাল ফলের রস পান করলে শরীরের সুগার লেভেল বাড়তে পারে। তাই নাশতার পর ফলের রস পান করা উচিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফলের রস পান করার উপযুক্ত সময় হলো, সকালের নাশতা এবং দুপুরের খাবারের মধ্যের সময়টা। এছাড়া খালি পেটে কখনওই ফলের রস খাওয়া ঠিক নয়।
এসি/ আই.কে.জে/
খবরটি শেয়ার করুন