ছবি : সংগৃহীত
জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের এক ফাঁকে ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এক নতুন পরিবহন করিডোরের ঘোষণা দেয়, যা ভবিষ্যতে বিশ্ব বাণিজ্যের ভিত্তি হয়ে উঠবে বলে দাবি করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডোর (আইএমইসি) ঘোষণা করার সাথে সাথে তাদের মধ্যকার দীর্ঘদিনের বিরোধপূর্ণ সম্পর্কের অবনতি হয়।
রেল ও শিপিং নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যে পরিবহন ও যোগাযোগের সংযোগকে শক্তিশালী করার জন্য চালু করা এ প্রকল্পটি চীনের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিকেও বাড়িয়ে দেবে কয়েকগুণ।
ইতিমধ্যে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পের মাধ্যমে চীন বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। তবে সম্প্রতি ঘোষিত এ পরিবহন করিডোরের প্রকল্পকে অনেকেই চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পের বিপরীতে দেখছেন। অনেকের ধারণা এ প্রকল্প চীনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা জবাব।
এবছর ১০ বছর পূরণ করতে চলেছে চীনা প্রেসিডেন্ট শিয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ প্রকল্প। তবে চীনের অর্থনৈতিক মন্দার কারণে এ প্রকল্পের কার্যক্রম বর্তমানে অত্যন্ত ধীর গতিতে চলছে। ফলে ইতালির মতো দেশগুলো এ প্রকল্প হতে নিজেদের নাম প্রত্যাহারের চিন্তা করছে। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কা এবং জাম্বিয়ার মতো দেশগুলো এ প্রকল্পের অধীনে ঋণ ফাঁদে পড়েছে।
তাছাড়া বিগত ১০ বছরে এ প্রকল্পে স্বচ্ছতার অভাব এবং দুর্নীতির অভিযোগও উঠে আসে।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এ পরিবহন করিডোর প্রকল্প কোনো দিক দিয়েই বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের ধারে কাছেও যেতে পারবেনা।
বিগত ১০ বছরে ১৫০ টিরও বেশি দেশ এ বিআরআই প্রকল্পের সাথে যুক্ত হয়েছে। এ প্রকল্পে চীন এখন পর্যন্ত এক ট্রিলিয়নেরও বেশি বিনিয়োগ করেছে।
আরো পড়ুন : চীনের অর্থায়নে ইন্দোনেশিয়ায় চালু হলো দ্রুতগতিসম্পন্ন রেলওয়ে
চীনের বিআরআই প্রকল্পের বিরুদ্ধে পরিবহন করিডোর প্রকল্প পশ্চিমা বিশ্বের প্রথম পদক্ষেপ নয়। এর আগেও বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে চীনকে টেক্কা দিতে চেয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব।
তবে অনেক বিশেষজ্ঞ এ পরিবহন প্রকল্পকে বিআরআই এর বিরুদ্ধে চিন্তা না করে জনগণের জন্য উপকারী একটি প্রকল্প হিসেবে চিন্তা করতে অনুপ্রাণিত করেন।
এসকে/ এএম/
চীন যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বিআরআই ভারত-ইউরোপ সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান
খবরটি শেয়ার করুন