ছবি: সংগৃহীত।
ছোলা পুষ্টিকর ডাল জাতীয় একটি শস্যদানা। এটি মলিবেডনাম এবং ম্যাঙ্গানিজের চমৎকার উৎস। ছোলাতে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ থাকে। একইসঙ্গে ছোলায় আমিষ, ট্রিপট্যোফান, কপার, ফসফরাস এবং আয়রণ ও পাওয়া যায়।
সকালে কাঁচা, সেদ্ধ বা তরকারিতে রান্না করেও খাওয়া যায় ছোলা। রাতে কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে, খোসা ছাড়িয়ে, কাঁচা আদার সঙ্গে খেলে শরীরে একইসঙ্গে আমিষ ও অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া যাবে। তাই চলুন ছোলা খাওয়ার কিছু গুণাগুণ আজ জেনে নিই:
>> যৌনশক্তি বাড়াতে-
যৌনশক্তি বাড়াতে এর ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। রাতে ছোলা ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে প্রতিদিন খেলে যৌনশক্তি বাড়বে। আমিষ মানবদেহ শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যবান করতে সাহায্য করে। আর অ্যান্টিবায়োটিক যেকোনো অসুখের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
>> কফ ভালো হয়-
শ্বাসনালিতে জমে থাকা পুরনো কাশি বা কফ ভালো হওয়ার জন্য কাজ করে শুকনা ছোলা ভাজা। ছোলা বা বুটের শাকও শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। প্রচুর পরিমাণে ডায়াটারি ফাইবার বা আঁশ রয়েছে এই ছোলায় ও ছোলার শাকে। ডায়াটারি ফাইবার খাবারে অবস্থিত পাতলা আঁশ, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
>> অস্থির ভাব দূর করে-
ছোলায় শর্করার গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ কম থাকায় শরীরে প্রবেশ করার পর অস্থির ভাব দূর হয়।
আরো পড়ুন: হার্ট ও ফুসফুসের যত্নে খাবেন গাজর
>> খাদ্যনালি ভালো রাখে-
ছোলা খাদ্যনালিতে ক্ষতিকর জীবাণু দূর করে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা কমায়। এছাড়া ছোলার শর্করা গ্লুকোজ হয়ে দ্রুত রক্তে যায় না। তাই ডায়াবেটিকস রোগীর জন্য ছোলা খুবই উপকারী খাবার।
>> রক্তের চর্বি কমায়-
ছোলার ফ্যাটের বেশিরভাগই পলি আনস্যাচুয়েটেড। এই ফ্যাট শরীরের জন্য মোটেই ক্ষতিকর নয়, বরং রক্তের চর্বি কমায়। কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে কাঁচা আদার সঙ্গে খেলে শরীরে আমিষ ও অ্যান্টিবায়োটিকের চাহিদা পূরণ হয়।
>> স্বাস্থ্যবান বানায়-
আমিষ মানুষকে শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যবান বানায় এবং অ্যান্টিবায়োটিক যে কোনো অসুখের জন্য প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ছোলা খাওয়ার পর বেশ অল্প সময়েই হজম হয়। এছাড়া গ্রামাঞ্চলে ছোলাকে গুঁড়ো করে এই ছাতু ব্যবহার করা হয়। যাদের ওজন বাড়ানো প্রয়োজন হয়, তারা এই ছোলার ছাতু খেতে পারেন।
>> হৃদপিণ্ডের রোগ সারায়-
অস্ট্রেলিয়ান গবেষকরা দেখিয়েছেন যে খাবারে ছোলা যুক্ত করলে টোটাল কোলেস্টেরল এবং খারাপ কোলেস্টেরল এর পরিমাণ কমে যায়। ছোলাতে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ধরনের খাদ্য আঁশ আছে যা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
এমএইচডি/ আই. কে. জে/
খবরটি শেয়ার করুন