রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** নিউইয়র্কে মোদির সঙ্গে বৈঠক করতে চান ড. ইউনূস *** বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত *** সরকারের সুস্পষ্ট আশ্বাস ছাড়া আন্দোলন চালিয়ে যাবেন চাকরিপ্রত্যাশীরা *** খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে *** সীমান্তে পিঠ প্রদর্শন করবেন না, বিজিবিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা *** আমিরাতে ক্ষমা পাওয়া ১৪ বাংলাদেশি দেশে ফিরবেন আজ *** এইচএসসি ২০২৪ পরীক্ষার্থীদের জন্য সংশোধিত নির্দেশনা *** চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগ অবরোধ *** আন্দোলনে আহতদের দেখতে হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা *** রাঘব বোয়ালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আরও দৃশ্যমান হবে : অর্থ উপদেষ্টা

জমি ও ফ্ল্যাট নিবন্ধনে কর বাড়ল

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন, ২০শে জুলাই ২০২৩

#

প্রতীকী ছবি

ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরসহ দেশের সব এলাকার সম্পত্তি নিবন্ধন কর দ্বিগুণ করেছে সরকার। তাই এখন থেকে দেশের যে কোনো এলাকায় স্থাবর সম্পত্তি বা জমি ও ফ্ল্যাট হস্তান্তর কিংবা মালিকানা অর্জনে দ্বিগুণ কর দিতে হবে।

আয়কর আইন ২০২৩-এর আওতায় উৎসে কর বিধিমালায় নতুন ওই কর নির্ধারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গত মঙ্গলবার গেজেট আকারে যা প্রকাশ করা হয়েছে। এদিকে একই দিন আরও একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকারি কর্মচারীদের মূল বেতন, উৎসব ভাতা ও বোনাস ছাড়া অন্যান্য ভাতা ও সুবিধায় আয়কর অব্যাহতি অব্যাহত রাখা হয়েছে।

নতুন গেজেটে গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম এলাকায় সিটি করপোরেশনের বাইরের এলাকা এবং জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা এলাকায় কর বাড়িয়ে দলিল মূল্যের ৩ থেকে ৬ শতাংশ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের যে কেনো পৌরসভার আওতাধীন সম্পত্তি কর ২ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশ এবং বাকি এলাকাগুলোয় ১ শতাংশ থেকে কর বাড়িয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে।

এদিকে নতুন নিয়মে নিবন্ধন কর হিসেবে সবচেয়ে বেশি অর্থ গুনতে হবে রাজধানীর গুলশান, বনানী, মতিঝিল, দিলকুশা, নর্থ সাউথ রোড, মতিঝিল সম্প্রসারিত এলাকা ও মহাখালী এলাকার স্থাবর সম্পত্তির মালিকদের। এসব এলাকায় সম্পত্তি কিনলে ক্রেতাকে জমি, ফ্ল্যাট বা যে কোনো স্থাপনা নিবন্ধনের জন্য কাঠা প্রতি ৮ শতাংশ বা ২০ লাখ টাকার মধ্যে যেটি সর্বোচ্চ সেটা গুনতে হবে। যা সম্পত্তি কর হিসেবে সর্বোচ্চ।

এ ছাড়া গেজেট অনুযায়ী, কারওয়ান বাজার এলাকায় দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ বা ১২ লাখ টাকার মধ্যে যেটি সর্বোচ্চ সেটি, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ ও সিডিএ অ্যাভিনিউ এলাকায় দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ বা ৮ লাখ টাকার মধ্যে যেটি সর্বোচ্চ, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ, বাড্ডা, সায়েদাবাদ, পোস্তগোলা ও গেণ্ডারিয়া এলাকায় দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ বা ৮ লাখ টাকা যেটি সর্বোচ্চ, ঢাকার উত্তরা, সোনারগাঁও, জনপথ, শাহবাগ, পান্থপথ, বাংলামটর ও কাকরাইল এলাকায় দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ বা ১২ লাখ টাকার যেটি সর্বোচ্চ এবং ঢাকার নবাবপুর ও ফুলবাড়িয়া এলাকায় দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ বা ৬ লাখ টাকার মধ্যে যেটি সর্বোচ্চ সেটা কর হিসেবে গুনতে হবে।

তবে শর্ত থাকে যে, যদি জমিতে কোনো স্থাপনা, বাড়ি, ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট বা ফ্লোর স্পেস থাকে তাহলে প্রতি বর্গমিটারে ৮০০ টাকা হারে অথবা ওই স্থাপনা, বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট অথবা ফ্লোর স্পেসের দলিল মূল্যের ৮ শতাংশের মধ্যে যেটা সর্বোচ্চ সেই হারে অতিরিক্ত কর প্রযোজ্য হবে।

গেজেটে আরও বলা হয়েছে, ঢাকার উত্তরা (সেক্টর-১-৯), খিলগাঁও পুনর্বাসন এলাকা, আজিমপুর, রাজারবাগ পুনর্বাসন এলাকা ও চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ, হালিশহর, পাঁচলাইশ ও নাসিরাবাদ মেহেদিবাগ দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ বা ৩ লাখ টাকা যেটি সর্বোচ্চ, ঢাকার বনানী ডিওএইচএস, ধানমন্ডি, বারিধারা ডিওএইচএস, মহাখালী ডিওএইচএস, বসুন্ধরা, নিকেতন ও বারিধারার দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ বা ১ লাখ টাকা যেটি সর্বোচ্চ এবং ঢাকার রাজউক পূর্বাচল আবাসিক মডেল টাউন, বসুন্ধরা ও ঝিলমিল আবাসিক এলাকা দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ বা ৩ লাখ টাকার যেটি সর্বোচ্চ সেটা গুনতে হবে।

অন্যদিকে ঢাকার উত্তরা, নিকুঞ্জ, বাড্ডা পুনর্বাসন এলাকা, গেণ্ডারিয়া পুনর্বাসন, শ্যামপুর পুনর্বাসন, আইজি বাগান ও টঙ্গী এলাকায় দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ বা ১ লাখ ২০ হাজার টাকার যেটি সর্বোচ্চ, ঢাকার শ্যামপুর, পোস্তগোলা শিল্প ও জুরাইন শিল্প এলাকার দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ বা ১ লাখ টাকার যেটি সর্বোচ্চ, ঢাকার খিলগাঁও ও রাজারবাগ পুনর্বাসন এলাকায় দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ বা দেড় লাখ টাকার যেটি সর্বোচ্চ এবং ঢাকার গোড়ান ও হাজারীবাগ ট্যানারি এলাকায় দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ বা ৬০ হাজার টাকার মধ্যে যেটি সর্বোচ্চ সেটা কর দিতে হবে।

আরো পড়ুন:ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে বাড়বে ট্রেন, বাঁচবে সময়

এদিকে আয়কর আইনের ২০২৩-এর ৭৬ ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে পৃথক একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে এনবিআর আগের মতোই সরকারি কর্মচারীদের মূল বেতন, উৎসব ভাতা ও বোনাস ছাড়া অন্যান্য ভাতা ও সুবিধাকে আয়কর অব্যাহতি অব্যাহত রেখেছে। এনবিআরের কর্মকর্তারা জানান, আগেও এসব ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া ছিল। কিন্তু নতুন আয়কর আইন হওয়ায় এর আওতায় পুনরায় প্রজ্ঞাপনটি করার প্রয়োজন হয়েছে।

এম/


জমি ফ্ল্যাট

খবরটি শেয়ার করুন