প্রচলিত নিয়মকানুন ভঙ্গ করে কোনো উদ্দেশ্য হাসিল করার ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করেন তিনি। সম্প্রতি এমনই একটি কনটেন্ট তৈরি করে জাপানিদের কাছে ক্ষমা চাইলেন সাইপ্রাসের এক ইউটিউবার। তার নাম ফিদিয়াস পানায়িওতো।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) এ বিষয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো অর্থ খরচ না করেই জাপান ঘুরে বেড়ানো নিয়ে সম্প্রতি একটি ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করেছিলেন ফিদিয়াস। এই ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি চালাকি করে ট্রেনের ভাড়া ফাঁকি দিচ্ছেন, ফাইভ স্টার হোটেলে নাশতার বিল না দিয়েই ভাগছেন।
ফিদিয়াসের ওই ভিডিওটি ইতিমধ্যে পাঁচ লাখের বেশি ভিউ হয়েছে। তবে বিষয়টি খেপিয়ে তুলেছে জাপানিদের। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই তাঁকে গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়েছেন। অনেকেই বিরক্তি প্রকাশ করেছেন, জাপানের মাটিতে বিদেশিদের এমন প্র্যাঙ্ক ভিডিও নির্মাণের জন্য। এ ধরনের ইউটিউবারদের প্রবেশ জাপানে নিষিদ্ধ করারও প্রস্তাব করেছেন কেউ কেউ।
এমন সমালোচনার মধ্যেই বোধোদয় হয়েছে ফিদিয়াসের। মঙ্গলবার তিনি জাপানিদের কাছে ক্ষমা চেয়ে আরেকটি ভিডিও পোস্ট করেছেন।
ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা গেছে, ‘হ্যালো সুন্দর মানুষেরা, আমি জাপানি জনগণের কাছে ক্ষমা চাইছি। তাদের বাজে অনুভূতি দেওয়া আমাদের উদ্দেশ্য ছিল না।’
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১০ হাজার ডলারের একটি বাজিতে জাপানে বিনা মূল্যে ঘুরে বেড়ানোর ভিডিওটি তৈরি করেছিলেন ফিদিয়াস। তাঁকে পর্যবেক্ষণের জন্য সঙ্গে ছিলেন আরও দুজন।
ভিডিওতে দেখা যায়, জাপানের একাধিক বুলেট ট্রেনে টয়লেটে লুকিয়ে থেকে ভাড়া ফাঁকি দিয়েছেন তিনি। বাসের ভাড়া দেওয়ার জন্য অপরিচিত এক ব্যক্তির কাছে হাত পাতেন তিনি। তারপরও ৮০ ইয়েন কম থাকার কারণে চালক তাঁকে বাসের মধ্যে আটকে রাখেন এবং পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যান। সেখানে পাঁচ ঘণ্টা আটক থাকার পর ছাড়া পান ফিদিয়াস।
একপর্যায়ে নাশতা করার জন্য তিনি একটি হোটেলে প্রবেশ করেন। সেখানে নাশতা সেরে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে বেরিয়ে আসতে কোনো সমস্যাই হয়নি বলে ভিডিওতে জানান।
ভিডিও কখন তৈরি করা হয়েছে কিংবা ফিদিয়াস ও তাঁর সঙ্গীরা এখনো জাপানে অবস্থান করছেন কি না সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
ফিদিয়াস ক্ষমা চাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক জাপানি মন্তব্য করেছেন—তিনি যদি সত্যিই অনুতপ্ত হন, তবে ভিডিওটি ইউটিউব থেকে মুছে দিয়ে তা প্রমাণ করা উচিত। গতকাল দুপুরের দিকে ফিদিয়াসের ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিওটি পাওয়া যায়নি।
ওআ/