ছবি: সংগৃহীত
ডাবের পানি খুবই স্বাস্থ্যকর। বিশেষকরে গরমে প্রখর রোদে ডাবের পানি পান করে আমরা তেষ্টা মেটাই। ডাবের জলে রয়েছে টক্সিন দূর করার ক্ষমতা। তবে ডাবের জল পান করার সঠিক সময় কী তা নিয়ে সর্বদা একটি দ্বিধা থাকে।
কেউ বলে সকালে ডাবের জল পান করা সর্বোত্তম সময়, আবার কেউ কেউ মনে করেন সন্ধ্যার সময় এটির জন্য উপযুক্ত। আবার আদৌ কি ডাবের জল সবার জন্য উপকারী?
সকালে ডাব খাওয়ার উপকারিতা:
১. থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে ডাবের জল খুবই উপকারী। সকালে ডাবের জল খেলে থাইরয়েড হরমোন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
২. কিডনি সুস্থ রাখতে ডাবের জল খাওয়া ভাল। এটি ইউরিনারি ট্র্যাক পরিষ্কার রাখতে সহায়ক এবং একই সঙ্গে কিডনিতে পাথর বাড়তে দেয় না। তবে সবার জন্য নয়।
৩. নিয়মিত ডাবের জল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যার কারণে অনেক রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
৪. যদি আপনি ওজন কমানোর জন্য চিন্তিত থাকেন, তাহলে নারকেল জল পান করা আপনার জন্য খুবই উপকারী হবে। এতে খুব কম পরিমাণে ক্যালোরি এবং অল্পই চর্বি থাকে। ডাবের জল পান করার পরে, দীর্ঘক্ষণ খিদেও লাগে না, যে কারণে সময়ে সময়ে খাওয়ার প্রয়োজন হয় না।
৫. ডাবের জল পান করা ত্বকের পুষ্টির জন্যও উপকারী। ত্বকের আর্দ্রতাও বজায় থাকে।
আরো পড়ুন: রক্তে প্লাটিলেট বাড়বে যা খেলে
কাদের ডাবের জল পান করা উচিত নয়?
১) সোডিয়ামের পাশাপাশি ডাবের জলে থাকে পটাশিয়ামও। যা কমিয়ে দিতে পারে রক্তচাপ। ফলে যাঁরা রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ডাবের জল সমস্যা তৈরি করতে পারে।
২) ডাবের জলে ক্যালশিয়াম, পটাশিয়ামের মতো বিভিন্ন ধরনের খনিজ লবণ থাকে। যাঁরা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের কারও কারও ক্ষেত্রে তাই খনিজ লবণের ভারসাম্য বিগড়ে যেতে পারে অতিরিক্ত ডাবের জল পান করলে। তাই কিডনির রোগীদের ডাবের জল পান করার আগে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া ভালো।
৩) ডায়াবিটিসে ভুগছেন, তাঁদের ডাবের জল পান করা উচিত কি না, তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। পুষ্টিবিদদের মতে, এক কাপ ডাবের জলে প্রায় ৬.২৬ গ্রাম শর্করা থাকতে পারে। যা রক্তের শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে।
এসি/ আই. কে. জে/