স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ সম্মেলন- ছবি: সংগৃহীত
ডেঙ্গু শনাক্তের পরীক্ষার ফি বাবদ সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা নিতে পারবে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলো। এর বেশি নেওয়া হলে ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু শনাক্তের পরীক্ষার ফি ১০০ টাকা।
রোববার (২৮ মে) সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি দেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু পরীক্ষাসহ ডেঙ্গু চিকিৎসায় আমরা সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন করে দিয়েছি। এই গাইডলাইন অনুযায়ী সবাইকে চিকিৎসা দিতে হবে। প্লাটিলেট ব্যবহার নিয়েও নির্দেশনা রয়েছে গাইডলাইনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক নাজমুল ইসলাম বলেন, ঢাকা মহানগরীর পর দেশে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গুরোগী কক্সবাজারে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। চলতি বছরেও সহস্রাধিক ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়েছে সেখানে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানুষের মধ্যে সচেতনতার যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। তাদের কালচার আলাদা হওয়ায় এ ব্যাপারে সেখানে সেভাবে কাজও করা যায় না।
নাজমুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য পানি সরবরাহের ব্যবস্থা খুব কম। ফলে তারা বিভিন্ন গর্ত থেকে পানি সংগ্রহ করেন এবং অনেক সময় পানি খোলা পাত্রে রেখে দেন। এ ছাড়া তাদের মধ্যে সচেতনতার বিষয়টি আরও কম।
তিনি বলেন, ঢাকায় জনগোষ্ঠী বেশি হলেও এখানে জায়গা আছে। কিন্তু রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কম জায়গায় মানুষ বেশি। ফলে সেখানে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অন্য এলাকার তুলনায় বেশি। এখন পর্যন্ত সেখানে এক হাজার ৬৬ জনের ডেঙ্গুরোগ শনাক্ত হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক আরও বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় যেখানে ঘনবসতি বেশি সেখানে মশার উপদ্রব বেশি। তবে নির্দিষ্ট করে কোন এলাকায় সবচেয়ে বেশি সেটি বলা এই মুহূর্তে কঠিন। রোগীদের তথ্য যাচাই করে তারপর বলা যাবে। আমরা পুরো ঢাকা শহরকেই বিবেচনায় নিচ্ছি। আমাদের কাজ রোগী ব্যবস্থাপনা। ডেঙ্গু কোথায় বেশি এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব স্থানীয় সরকারের।
আরো পড়ুন:বরিশাল সিটি নির্বাচন: প্রার্থীদের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি সিইসির
রোগী জটিলতার ব্যাপারে অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন বলেন, ঢাকায় অপরিকল্পিত নগরী গড়ে উঠেছে, ঠিক ব্রাজিলের মতোই। ফলে ঢাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি। ডেঙ্গু আক্রান্ত হলেই আমরা প্লাটিলেটকে সামনে আনি। অথচ এটি অতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমাদের উচিত সচেতনতায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া।
এম/
খবরটি শেয়ার করুন