সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢামেকের বহির্বিভাগে ই-টিকিটিংয়ের সুবিধা পেতে শুরু করেছেন রোগীরা

স্বাস্থ্য ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১০:৪৭ অপরাহ্ন, ২২শে জুন ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে ই-টিকিটিংয়ের সুবিধা পেতে শুরু করেছেন রোগীরা। উদ্বোধনের পর থেকে রোগীরা নির্ধারিত মূল্য দিয়ে অনলাইনে টিকিট কেটে সেটা প্রিন্ট করে সরাসরি বহির্বিভাগে এসে ডাক্তার দেখাচ্ছেন।

বহির্বিভাগে লাইন ধরে আধাঘণ্টা বা এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে টিকিট কেটেও রোগীরা সরাসরি চিকিৎসকদের রুমে যেতে পারেন না। সেই টিকিট নিয়ে আবার নির্দিষ্ট চিকিৎসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে এন্ট্রি করাতে যেতে হয়। রেজিস্ট্রেশন নম্বর টিকিটের বসানোর পর চিকিৎসকের কাছে যেতে হয়। সেখানেও দীর্ঘ লাইন থাকে।

আর এখন ই-টিকিটিং চালুর পর এতো ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে না। হাসপাতালের এক জায়গা থেকে টিকিট কিনে আবার অন্য জায়গায় রেজিস্ট্রেশন নাম্বার বসানোর এই ঝামেলা থেকে মুক্ত হলেন রোগীরা।  

গত ১৯ জুন দুপুরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক হাসপাতালের এক অনুষ্ঠানে এ সেবার উদ্বোধন করেন।  বুধবার (২১ জুন) এই বিষয়ে কথা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হকের সঙ্গে।

তিনি জানান, ই-টিকিটিং উদ্বোধনের পর থেকেই ব্যাপক সাড়া মিলছে। অনেকেই অনলাইনে টিকিট কেটে সেটা প্রিন্ট করে হাসপাতালের বহির্বিভাগে সরাসরি চিকিৎসকের রুমে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

 আরো পড়ুন: সেন্ট্রাল হাসপাতাল নিয়ে বক্তব্য প্রত্যাহারে ডা. সংযুক্ত সাহাকে লিগ্যাল নোটিশ

বিগ্রেডিয়ার জেনারেল বলেন, এটা শুধু হাসপাতালে বহির্বিভাগের জন্যই করা হয়েছে। কারণ, সকালে অনেক রোগীকে লাইন ধরে টিকিট কাটতে দেখা যায়। এটা রোগীদের জন্য খুব কষ্টকর ব্যাপার। আর চিকিৎসা পেতেও সময় লাগে। তাই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে ই-টিকিটিং ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে রোগীরা সুবিধা পেতে শুরু করেছেন।  

তিনি আরও বলেন, বহির্বিভাগেও প্রিন্ট করতে পারবে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করার পরেই। কিন্তু একসঙ্গে রোগীরা এলে সেখানেও ভিড় লেগে যাবে। তাই যারা যারা প্রিন্ট করে নিয়ে আসছেন তারা সরাসরি চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে বহির্বিভাগ মেডিসিন বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক (আরএস) শাইখ আব্দুল্লাহর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, গত দুইদিন যাবত বেশ কয়েকজন ই-টিকিট অনলাইন থেকে কিনে প্রিন্ট করে সরাসরি আমাদের ডিপার্টমেন্টে এনে চিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা নিয়েছেন। আস্তে আস্তে এদের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশা করি।

তিনি আরও বলেন, আমার বিভাগের বাইরেও বহির্বিভাগের সার্জারি ও অন্যান্য বিভাগেও রোগীরা অনলাইন থেকে টিকিট সংগ্রহ করে সেটা প্রিন্ট করে নিয়ে সরাসরি চিকিৎসা নিয়েছে এমন সংবাদ পাওয়া গেছে।

এসি/ আই.কে.জে/


ঢামেক ই-টিকিটিং

খবরটি শেয়ার করুন