শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিনদিনের ছুটিতে ঢাকা ফাঁকা

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:২০ অপরাহ্ন, ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০২৩

#

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী এবং সাপ্তাহিক দুইদিনের ছুটি মিলিয়ে মোট তিনদিনের ছুটিতে গেছে দেশ। যানজট, কোলাহল, মোড়ে মোড়ে গাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশার জট— সাধারণত এমনই চিত্র রাজধানীবাসীর নিত্যসঙ্গী। তবে তিনদিনের সাপ্তাহিক ছুটি যোগ হওয়ায় ঢাকা অনেকটাই ফাঁকা হয়ে গেছে। 

তিনদিনের এ ছুটির কারণে ঢাকার রাস্তায় যানবাহনের আনাগোনা কম। অন্যদিনের তুলনায় নেই বললেই চলে। রাজধানীর কোথাও ব্যস্ততা নিয়ে ছুটে চলা মানুষের জনজট নেই। সবখানেই প্রায় ফাঁকা ফাঁকা ভাব। 

এতে যেন নগরের ব্যস্ততম জীবনে স্বস্তি নেমে এসেছে। টানা তিনদিনের ছুটি কাজে লাগিয়ে রাজধানী ছেড়েছেন অনেক মানুষ। কেউ গেছেন গ্রামের বাড়িতে আবার কেউবা পরিবার নিয়ে বেড়াতে গেছেন কোনো পর্যটন এলাকায়। 

এর ফলে রাজধানীর সড়কে কমেছে মানুষের চাপ। এতে করে সড়কে চিরচেনা যানজট ও কোলাহলের চিত্রে কিছুটা ভিন্নতা দেখা গেছে। 

বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে নেই কোনো যানজট। গণপরিবহনে ওঠার জন্য নেই কোনো হুড়াহুড়ি-ঠেলাঠেলি। সবমিলিয়ে টানা ছুটিতে ফাঁকা রাজধানীর রাজপথ।

কুড়িল, বাড্ডা, রামপুরা, শান্তিনগর ও পল্টন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে ঢাকার রাজপথে যানবাহন ও যাত্রীদের উপস্থিত খুবই কম। সাধারণত বৃহস্পতিবারে ঢাকার রাস্তাঘাটে যানবাহন ও যাত্রীদের প্রচুর চাপ থাকে। কিন্তু আজ সেই চিত্র নেই। রাস্তায় হাতে গোনা কয়েকটি গণপরিবহন চলছে, এসব বাসেও খুব বেশি যাত্রী নেই। অন্যদিকে, রাস্তায় কিছু ব্যক্তিগত যানবাহন, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশার চলাচল রয়েছে।

যাত্রীরা বলছেন, টানা ছুটিতে রাস্তা প্রায় ঈদের ছুটির মতো ফাঁকা রয়েছে। এক ঘণ্টার রাস্তা এখন ১০-১৫ মিনিটেই ভ্রমণ করা যাচ্ছে।

কুড়িল থেকে বাসে উঠে মাত্র ২০ মিনিটে রামপুরা আবুল হোটেলের সামনে পৌঁছেছেন মো. মনির নামের এক ব্যক্তি। তিনি জানান, ব্যবসায়িক কাজে প্রায়ই তাকে কুড়িল থেকে আবুল হোটেল এলাকায় আসতে হয়। অন্য দিনগুলোতে এই রাস্তা দিয়ে আসতে ঘণ্টার বেশি সময় লেগে যায়। কিন্তু আজ মাত্র ২০ মিনিটে চলে এসেছেন।

এদিকে, ফাঁকা রাস্তায় রিকশায় চড়ে বেড়াতে বের হয়েছেন অনেকে। তাদের উদ্দেশ্য হলো, দুপুর হওয়ার আগেই শপিং মল, সিনেমা হল কিংবা অন্য কোনো স্থানে যাওয়া।

মিরপুর থেকে থেকে সায়েদাবাদগামী একটি বাসের চালক জাকির হোসেন বলেন, যাত্রী কম হলেও ফাঁকা রাস্তায় গাড়ি চালাইয়া আরাম পাচ্ছি। কোনো প্যারা নাইক্কা।

টানা ছুটিতে রাস্তা ফাঁকা থাকার ব্যাপারে গণপরিবহনের চালকরা আরো জানান, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারে রাস্তার অবস্থা একই থাকবে। শনিবারে অনেক বেসরকারি অফিস খুললে তখন যাত্রীর সংখ্যা বাড়বে।

সদরঘাট থেকে উত্তরাগামী ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের চালক মো. জুয়েল বলেন, আজকে রাস্তা পুরোটাই ফাঁকা। কোনো যানজট ছাড়াই রাস্তায় চলাচল করা যাচ্ছে। কিন্তু বাসে যাত্রী নেই। যাত্রী না থাকলে তো আমাদের সমস্যা। যাত্রী কম থাকার কারণে আজ রাস্তায় বাস অনেক কম। শুক্রবারও একই অবস্থা থাকবে। তবে শনিবারে অনেক বেসরকারি অফিস খুললে তখন কিছুটা যাত্রী পাওয়া যাবে।

এসকে/ 

ঢাকা রাজধানী সরকারি ছুটি ফাঁকা

খবরটি শেয়ার করুন