ছবি: সংগৃহীত
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানুষের জন্য আজীবন কাজ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়া, ক্ষমতায় যাওয়ার আগ্রহ বঙ্গবন্ধুর ছিল না। তিনি পূর্ব বাংলার নির্যাতিত, অবহেলিত, শোষিত-বঞ্চিত জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে রাজনীতি করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু সপরিবারে বাংলার জন্য জীবন উৎসর্গ করে গেছেন।
স্পিকার বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে আলোচনা সভা ও মোনাজাত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর পিতার আদর্শ ও দর্শন ধারণ করে বাংলার জনমানুষের কল্যাণে কাজ করে চলেছেন।
তিনি বলেন, ১৫ আগস্টে সংগঠিত হত্যাকান্ডের খুনীদের কোন ক্ষমা নেই। দেশের প্রচলিত আইনে ১৫ আগস্টে সংগঠিত হত্যাকান্ডের খুনীদের বিচার করার সুযোগ তৈরি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের প্রতিটি ঘটনার সাথে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে আছেন। নতুন প্রজন্ম জাতির পিতাকে নিয়ে রচিত গ্রন্থসমূহ পড়ে তাঁর আদর্শকে ধারন করে ও চর্চার মাধ্যমে স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে।
সংসদ উপনেতা বলেন, বাঙালির জন্য বঙ্গবন্ধুর অবদান অতুলনীয়। তাঁর জন্যই আমরা স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে মর্যাদা পেয়েছি।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিদের লক্ষ্য ছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতাকে বিলুপ্ত করা। তিনি বলেন, শোককে শক্তিতে রূপান্তরের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা এবং শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদেরকে আত্মনিয়োগ করতে হবে।
চীফ হুইপ বলেন, গবেষণার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের নৃশংসতম হত্যাকান্ডের পূর্ণ তদন্ত করতে হবে। তিনি এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত খুনী ও কুশীলবদের বিচারের দাবী জানান।
হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, বঙ্গবন্ধু এদেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুখী-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে চলেছেন।
স্পিকার এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ সংসদ সচিবালয়কে ধন্যবাদ জানান। এ আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদের স্মরণে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন জাতীয় সংসদ ভবন মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ ক্বারী মুফতি মোহাম্মদ আবু রায়হান।
সংসদ সচিবালয়ের আইপিএ অধিশাখার পরিচালক সামিয়া রুবাইয়াত হোসাইনের সঞ্চালনায় এ শোকসভায় সরকারী হিসাব কমিটির সভাপতি রুস্তম আলী ফরাজী এবং সরকারী প্রতিষ্ঠান কমিটির সভাপতি মোসলেম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের সভাপতি যুগ্মসচিব এ কে এম জি কিবরিয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল খায়ের উজ্জ্বল, জাতীয় শোক দিবস আয়োজক কমিটি ২০২৩ এর সদস্য সচিব আসিফ হাসান, আয়োজক কমিটির আহবায়ক বিএন্ডআইটির মহাপরিচালক এস. এম মঞ্জুর, জাতীয় শোক দিবস আয়োজক কমিটির সভাপতি সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে.এম. আব্দুস সালাম এ আয়োজনে বক্তব্য রাখেন।
সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু, সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, হুইপ ইকবালুর রহিম, হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি বক্তব্য রাখেন।
সংসদ সদস্য, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং গণমাধ্যম কর্মীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আর.এইচ