ছবি: সংগৃহীত
অনূর্ধ্ব-১৭ মেয়েদের ফুটবলের বাছাইয়ের গ্রুপ পর্বে আজ বাংলাদেশের দ্বিতীয় এবং শেষ ম্যাচ। স্বাগতিক সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে খেলা। কঠিন সমীকরণের সামনে বাংলার মেয়েরা। এক কথায় জিততে হবে। জিততেই হবে, যদি দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে চায়। এর কোনো বিকল্প নেই।
তুর্কমিনিস্তানকে বাংলাদেশ ৬-০ গোলে হারিয়েছিল। আর পরের ম্যাচে সিঙ্গাপুর ৭-০ গোলে তুর্কমিনিস্তানকে হারিয়ে সমান পয়েন্ট পেলেও তারা গোল গড়ে এগিয়ে বাংলাদেশের চেয়ে। ১টা গোল কম থাকায় বাংলাদেশের জন্য হিসাবটা কঠিন হয়ে যায়। সিঙ্গাপুরের জন্য সহজ হিসাব হচ্ছে, তারা যদি ড্র করে তাহলেই চলবে। ওই যে ১ গোলে এগিয়ে রয়েছে। এটাই কাল হয়ে দাঁড়াল।
এসব হিসাব ভুলে যেতে চান সিঙ্গাপুরে থাকা কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা আগেও বলেছিলাম এখনো বলছি যে, আমাদের খেলা খেলতে হবে। আমরা অন্যদের অঙ্কে চোখ রাখলে আমাদের অঙ্ক ভুল হয়ে যাবে। অঙ্কের হিসাবে অন্যদের খাতায় উঁকি দিলেই নিজের হিসাব গড়বড় হয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘হিসাব কঠিন না। সহজ। জিততে হবে। খেলতে হবে। লড়াই করতে হবে। শেষ বিন্দু দিয়ে লড়াই করতে হবে। ধরে নিতে হবে আজকে ফাইনাল ম্যাচ খেলতে নামছি আমরা।’
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে তাদের হোম গ্রাউন্ডে খেলা। তাদের একটা বাড়তি সুবিধা থাকবে। তবে বাংলাদেশের জন্য কোনো অংশে কম থাকবে না। কারণ মাঠের বাইরে থেকে গলা ফাটাতে পারবেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তারা আগেই দুই ম্যাচের টিকিট সংগ্রহ করে রেখেছিলেন। আজও তারা খেলা দেখতে আসবেন।
আরো পড়ুন:সৌদি আরবের প্রশংসায় মেসি
সিঙ্গাপুর কেমন করে সেটা জানতে শুক্রবার সিঙ্গাপুর-তুর্কমিনিস্তান ম্যাচ দেখার জন্য মাঠে ছিলেন কোচিং স্টাফ ও খেলোয়াড়েরা। সিঙ্গাপুরের আক্রমণ কোথায় ভালো। বাংলাদেশের সুবিধা হচ্ছে, তারা প্রথম ম্যাচের পর বড় একটা বিরতি পেয়েছিল। নতুন উদ্যোমে লড়াই করতে নামতে পারবে।
অধিনায়ক রুমা আক্তার বলেলেন, ‘আমরা মাঠে গিয়ে সিঙ্গাপুরের খেলা দেখেছি। ওদের কিছু কিছু ফুটবলার টেকনিকের দিক থেকে খুবই ভালো। আমরা আমাদের স্বাভাবিক ফুটবল খেলব।
সিঙ্গাপুরে শেষ বার সাবিনারা সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে হারলেও ঢাকায় অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল দল ৫-০ গোলে সিঙ্গাপুরকে হারিয়েছিল।
এম/