প্রতীকী ছবি
বর্তমানে বাংলাদেশ ডেটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেডের (বিডিসিএল) ন্যাশনাল ডেটা সেন্টার (এনডিসি) চীনের সরবরাহকৃত লাইসেন্সবিহীন বা পাইরেটেড সফটওয়্যারের কারণে সরকারী ডেটা সংরক্ষণ করতে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
এর আগেও চীন তার প্রতিবেশী দেশগুলোতে নিম্নমানের এবং ত্রুটিপূর্ণ সরঞ্জাম, অস্ত্র ও বিমান সরবরাহের জন্য প্রায়ই সমালোচিত হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশেও চীনের সরবরাহকৃত সফটওয়্যারের কারণে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হলো দেশটি।
পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহারের ফলে ফায়ারওয়্যাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার আপডেট করতেও সমস্যা হয়েছে এবং ২.১ পেটাবাইট স্টোরেজের ক্ষতিসাধন হয়েছে।
জেডটিই এনডিসি পুনর্গঠনে সাহায্য করতে সম্মত হলেও তা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
মূলত চীনা কোম্পানির কার্যক্রমই এমন, তারা প্রথমে ত্রুটিপূর্ণ সরঞ্জামাদি বিক্রি করে পরবর্তীতে সেই সরঞ্জামাদি ঠিক করতে মোটা অংকের টাকা দাবি করে।
ডাটা সেন্টারের ব্যর্থতার কারণে বাংলাদেশ সরকার এখন তথ্য সংরক্ষণের জন্য বিকল্প রাস্তা খুঁজছে। ইউএস ভিত্তিক ওরাকল ক্লাউড ইতিমধ্যেই বাংলাদেশকে ক্লাউড পরিষেবা প্রদানের জন্য আশ্বস্ত করেছে। তাছাড়াও যুক্তরাজ্যভিত্তিক কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সাথেও এ বিষয়ে আলাপ আলোচনা চলছে।
চলতি বছরের ১২-১৫ ফেব্রুয়ারি সাইবার আক্রমণ থেকে চীনা কোম্পানিগুলো তাদের গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য রক্ষা করতে ব্যর্থ হলে ব্যাপক সমালোচিত হয়। এ ঘটনায় প্রায় ৪৫ কোটি গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি যায়।
চীনের শীর্ষ নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর মধ্যে একটি, আনহেং ইনফরমেশন কোম্পানি লিমিটেড এ ঘটনার জন্য চ্যাট জিপিটি বা স্বয়ংক্রিয় একটি রোবটকে দায়ী করে।
নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার জন্য চীনা সরকারের ডেটা সুরক্ষা নীতিগুলো এই ঘটনার ফলে সমালোচিত হয়।
আরো পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন স্থগিত রাখার সুপারিশ জাতিসংঘ বিশেষ দূতের
এম এইচ ডি/ আই.কে.জে/
পাইরেটেড সফটওয়্যার চাইনিজ সফটওয়্যার বাংলাদেশ জাতীয় ডেটা সেন্টার
খবরটি শেয়ার করুন