সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানে হামলার শিকার অসহায় খ্রিস্টান সম্প্রদায় এলএইচসিয়ের দ্বারস্থ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৬:০২ অপরাহ্ন, ২৮শে আগস্ট ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

জরানওয়ালা দাঙ্গার পর পুলিশ এ ব্যাপারে বিশেষ কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের অনুরোধ জানায় খ্রিস্টান সম্প্রদায়। তারা গত শনিবার (২৬ আগস্ট) লাহোর হাইকোর্টে (এলএইচসি) এ আবেদন করে। 

অ্যাডভোকেট শাহবাজ ফজল সারোয়ারের মাধ্যমে দায়ের করা একটি পিটিশনে, পিটিশনকারী গ্রেস বাইবেল ফেলোশিপ চার্চ পাকিস্তানের চেয়ারম্যান, পিটার চার্লস, স্থানীয়রা যে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষদের ক্রমাগত হুমকি প্রদান করছে এ ব্যাপারে আদালতকে অবহিত করেন।

আবেদনকারী রাষ্ট্র, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন যে তারা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষদের নিরাপত্তা প্রদান করতে ব্যর্থ হয়েছে।

ব্লাসফেমির অভিযোগে যখন ২৪ টি চার্চে অগ্নিসংযোগ করা হয় এবং খ্রিস্টানদের বসতভিটা ভাঙচুর করা হয় তখন কেউ এই দাঙ্গাবাজদের রুখতে এগিয়ে আসেনি বলেও অভিযোগ জানান তিনি। 

সিসিটিভি ফুটেজে চিহ্নিত সকল অভিযুক্তকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানান চার্লস। তাছাড়া জরানওয়ালা ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের অনুদান প্রদানের জন্যেও আদালতের কাছে অনুরোধ জানান তিনি।

চার্লস জানান, গত ১৬ আগস্ট পবিত্র কোরআন অবমাননার নামে এক মিথ্যা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ফয়সালাবাদের জরানওয়ালা জেলা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। স্থানীয় একটি মসজিদ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উসকে দিয়ে সেখানে দাঙ্গার পরিবেশ সৃষ্টি করে।

বিক্ষুব্ধ জনতা ২৫টির বেশি গির্জা এবং ৫০টিরও বেশি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। তাছাড়া খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ২০০ টি বাড়িও ভাঙচুর ও লুটপাট করে।

খ্রিস্টধর্মীয় পবিত্র সব জিনিসকেও অবমাননা করে ক্ষুব্ধ জনতা।

এ ঘটনার পর কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ (সিটিডি) কুরআন অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদেরকে গ্রেফতার করে তাদের অজ্ঞাত স্থানে সরিয়ে নেয়।

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মহসিন নাকভি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।

আর.এইচ

পাকিস্তান

খবরটি শেয়ার করুন