পানির নিচে তৈরি হচ্ছে মসজিদ। ছবি : সংগৃহীত
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের সবচেয়ে বড় ও জনবহুল শহর হচ্ছে দুবাই। মূলত উঁচু উঁচু ভবন, কৃত্রিম দ্বীপ, নামিদামি গাড়ি-বাড়ির জন্য পরিচিত এই শহর। এবার বিশ্বে প্রথমবারের মতো পানির নিচে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নির্মাণ করতে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
দুবাইয়ের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড চ্যারিটেবল অ্যাক্টিভিটিস বিভাগ বলেছে, শিগগিরই মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হবে। প্রস্তাবিত এ মসজিদটি তিনতলা বিশিষ্ট হবে। তবে এর দুটি অংশ থাকবে। একটি অংশ থাকবে পানির ওপর এবং অপর তথা মূল অংশটি থাকবে পানির নিচে। পানির ওপরের অংশে বসার জায়গা ও একটি কফিশপ থাকবে। সেখানে থাকবে নারী ও পুরুষের আলাদা আলাদা বসার ব্যবস্থা।
আর পানির নিচের অংশে থাকবে নামাজের ব্যবস্থা। সেখানে একসঙ্গে ৫০ থেকে ৭৫ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। পানির নিচের অংশেই থাকবে অজু ও ওয়াশরুম বা টয়লেটের ব্যবস্থা।
খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদন মতে, এরই মধ্যে পানির নিচে বিশ্বের প্রথম মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে দুবাই কর্তৃপক্ষ। এর ফলে পানির নিচে নামাজ আদাযের এক অপূর্ব অভিজ্ঞতার সাক্ষী হবেন মুসল্লিরা।
প্রতিবেদন মতে, এই মসজিদের জন্য পাঁচ কোটি ৫০ লাখ দিরহাম ব্যয় করা হবে বলে প্রাথমিক সমীক্ষায় জানানো হয়েছে। খুব শিগগিরই মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এরই মধ্যে মসজিদটির প্রাথমিক ও নকশা ও ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।
সম্প্রতি ধর্মীয় পর্যটন প্রকল্প সম্পর্কে এক বিবৃতিতে বিশ্বের ব্যতিক্রমধমী এ মসজিদ নির্মাণ পরিকল্পনার কথা জানায় দুবাইয়ের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড চ্যারিটেবল অ্যাক্টিভিটিস বিভাগ। এ সময় তারা প্রস্তাবিত মসজিদটির বেশ কিছু নকশা প্রকাশ করে।
ঠিক কোন জায়গায় মসজিদটি নির্মাণ করা হবে তা এখনো জানানো হয়নি। তবে আহমেদ আল মনসুরি ইঙ্গিত দিয়েছেন, উপকূলের খুব কাছে মসজিদটি নির্মাণ করা হবে। মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে একটি সেতুর মাধ্যমে মসজিদটি যুক্ত থাকবে, যার মাধ্যমে মুসল্লিরা সেখানে যেতে পারবেন।
এ সময় আহমেদ আল মানসুরি আরও জানান, অন্য ধর্মের লোকজনও মসজিদটি পরিদর্শন করতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে তাদেরকে অবশ্যই শালীন পোশাক পরিধানসহ অন্যান্য ইসলামি রীতিনীতি মেনে চলতে হবে।
এসকে/
খবরটি শেয়ার করুন