ছবি : সংগৃহীত
সৌরজগতে একমাত্র পৃথিবীতেই প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে। এমনকি মহাবিশ্বে আর কোথাও এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণের হদিস মেলেনি। বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করছেন বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে আরও কোথাও প্রাণ রয়েছে কি না তা খুঁজে বের করতে। এমনকি মানুষের বসবাসের উপযুক্ত গ্রহ তারা খুঁজে বের করার চেষ্টাও করছেন।
কী ধরনের গ্রহে প্রাণ থাকতে পারে বা মানুষ কোথায় থাকতে পারে তার ব্যাখ্যাও দিয়েছে নাসা। এমন একটি গ্রহ থাকার শর্ত কী? সৌরজগতেও কি এমন কোনও গ্রহ আছে? জেনে নেওয়া যাক, পৃথিবী ছাড়া কোন গ্রহ মানুষের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ।
নাসা বলছে, সব ধরনের গ্রহে মানুষের প্রাণ ধারণ সম্ভব নয় এবং ভবিষ্যতেও বিকাশ লাভ করতে পারবে না। এ জন্য তারা বাসযোগ্য গ্রহের ধারণা দিয়েছে। নক্ষত্রের তুলনায় গ্রহগুলোর একটি বিশেষ অবস্থান রয়েছে, সেটাই প্রাণের অস্তিত্বের সম্ভাবনা বাড়ায়। এই ধরনের গ্রহগুলিতে জীবের বিকাশলাভ সম্ভব।
বাসযোগ্য গ্রহ সম্পর্কে নাসা বলছে, নক্ষত্র থেকে একটি নির্দিষ্ট ব্যাসার্ধের দূরত্বে সেই গ্রহকে থাকতে হবে। এর সঙ্গে চাই দুটি জিনিস। প্রথমত, সেই গ্রহকে পাথুরে হতে হবে। দ্বিতীয়ত, পানি থাকতে হবে তরল অবস্থায়। এই হিসেবে পৃথিবী ছাড়া মঙ্গল এবং শুক্র গ্রহ এই শর্তগুলো পূরণ করে। এছাড়া আরও একটি গ্রহ রয়েছে, সেটা হল বুধ।
আরো পড়ুন : ২০২৪ সালে চন্দ্রগ্রহণ হবে যেদিন
এই তিনটি গ্রহের মধ্যে মঙ্গলই একমাত্র গ্রহ যা পৃথিবীর পরে সবচেয়ে নিরাপদ গ্রহ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। বুধ এবং শুক্রের অবস্থা জীবনধারণের জন্য উপযুক্ত নয়। বুধের তাপমাত্রা ব্যাপকভাবে ওঠানামা করে এবং পানি তরল অবস্থায় থাকে না। শুক্রের তাপমাত্রা এবং বায়ুমণ্ডলের চাপ অনেক বেশি। সেখানেও জীবনধারণ সম্ভব নয়।
বর্তমানে, মঙ্গলই একমাত্র গ্রহ যেখানে মানুষ যেতে পারে এবং অনুকূল পরিস্থিতিতে বসবাস করতে পারে। বিজ্ঞানীরা এই বিষয়ে এখনও গবেষণা করছেন। মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠানোর জন্য বিলিয়ন ডলার খরচ করা হচ্ছে। মঙ্গল একটি পাথুরে গ্রহ, সেখানে একসময় পানি ছিল। মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে অক্সিজেন তৈরি করা যায়।
শুধু গ্রহ নয়, কিছু উপগ্রহেও মানুষ যেতে পারে এবং বাস করতে পারে। এর মধ্যে চাঁদ সবচেয়ে সম্ভাবনাময়। চাঁদের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল পাথুরে হওয়া ছাড়াও এটি পৃথিবীর খুব কাছাকাছি এবং পৃথিবী থেকে কিছু জিনিসপত্র সেখানে পাঠিয়ে বাসযোগ্য পরিস্থিতি তৈরি করা সম্ভব। এই নিয়েও গবেষণা চলছে।
এস/ আই.কে.জে/