শনিবার, ১২ই এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৮শে চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** এবারের নববর্ষের শোভাযাত্রায় তরমুজের মোটিফ থাকছে যে কারণে *** ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে পরিবর্তন *** আ. লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে যা বলছেন এক এগারোর সরকারের দাপুটে উপদেষ্টা *** ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বন্ধে অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে কী না, যা বলছেন অর্থনীতিবিদ *** মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদলে গেল *** বাংলাদেশে ব্যবসার সম্ভাবনা খুঁজে দেখছে পাকিস্তানের শিল্পগোষ্ঠী এনগ্রো *** 'রাস্তায় মানুষ বলছে, আপনারা আরও পাঁচ বছর থাকেন' *** বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল প্রসঙ্গে যা বলছেন ভারতীয় সাংবাদিক *** আজ রাতে ১১ জেলায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস *** অলিম্পিকে ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন নারী অ্যাথলেটরা

প্রকৃতিতে শুভ্রতা ছড়ানো বড় সাদা বক

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৫:৫৭ অপরাহ্ন, ১লা আগস্ট ২০২৩

#

সাদা বক - ছবি: সংগৃহীত

বাংলার অতি পরিচিত পাখি সাদা বক। প্রকৃতিতে শুভ্রতা ছড়ানো সাদা বক দলবেঁধে নিঃশব্দে চলে। এদের দেখা মেলে খোলা মাঠে, খাল-বিল-নদী-ঝিলে। কখনও খাবারের খোঁজে ঘাপটি মেরে বসে থাকে পুকুপাড়ে। কোথাও আবার ঘন বাঁশবনে দলবেঁধে বসে থাকে। কখনও ঝাঁকে উড়ে চলা, কখনও দিগন্তবিস্তৃত মাঠের সবুজ গালিচার সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে সাদা বকের দল।

নান্দনিক এই পাখিটি এখন অনেকটাই বিলুপ্তির পথে। জলবায়ু পরিবর্তন, কীটনাশক ব্যবহার, গাছপালা নিধন ও শিকারসহ নানা কারণে পাখিগুলো আগের মতো দেখা যায় না। বিশেষ করে অসাধু শিকারিদের দৌরাত্ম আর বনভূমি উজাড়ের কারণে সাদা বক যেন আমাদের জনবসতি থেকে অনেকটাই দূরে চলে গেছে।

জানা গেছে, দেশে সাধারণত কানা বা কানিবক, গো-বক, ছোট সাদা বক, মাঝারি সাদা বক, বড় সাদা বক, বেগুনি বক, বৃহৎ বা মহাকায় বক, নিশিবক, বাঘাবক রয়েছে। নিশিবক বা বাঘাবক ছাড়া অন্য সব বকই দিবাচর। সর্বত্র ও সহজ দৃষ্ট হলো কানিবক, ছোট সাদা বক ও গো-বক। তবে বড় সাদা বক এখন তেমন একটা দেখা যায় না। 


সাদা বক - ছবি: সংগৃহীত

বক জলাভূমিতে বিচরণকারী পাখি। এদের দীর্ঘ পা, গলা-মাথা সরু ও লম্বা এবং ঠোঁট চোখা। এদের পালক সাধারণত সাদা। এক সময় রাজকীয় পোশাক ও টুপিতে বকের পালক ব্যবহৃত হতো। সারা পৃথিবীতে আট প্রজাতি বক রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশে রয়েছে পাঁচ প্রজাতির। বক সাধারণত মাছ, ঝিনুক, কাঁকড়া, জলজ পোকা ইত্যাদি খেয়ে বেঁচে থাকে। খাল, বিল, পুকুর, হ্রদ, ঝিল, হাওর-বাঁওড়, নদী, সমুদ্র উপকূল ইত্যাদি অঞ্চলেই এদের বসবাস। এ ছাড়া, বাঁশঝাড়ে এদের দলবদ্ধভাবে বাস করতে দেখা যায়। 

বর্ষার শুরুতে এরা একবারই প্রজনন করে। এরা একসঙ্গে দুই থেকে পাঁচটি ডিম দেয়। ডিম দেওয়ার এক সপ্তাহের ভিতর ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয় এবং সপ্তাহের ভিতর বাচ্চারা উড়তে শেখে। বিশ্রামের সময় গলা প্রসারিত আর ওড়ার সময় গুটিয়ে যায়, কর্মরত অবস্থায় গলা খাড়া বা আধা-গুটানো থাকে। পুচ্ছ সাধারণত খাটো, তাতে পুচ্ছপালক থাকে। দীর্ঘ ও প্রশস্ত পাখনায় পালক থাকে। সাধারণত এরা পানিতে অথবা পানিতে ভাসমান বা পানি থেকে উঁচানো কোনো বস্তুর ওপর ঠায় বসে থাকে এবং সামনে দিয়ে শিকার যাওয়ার সময় হঠাৎ শিকারকে ঠোঁট দিয়ে ধরে ফেলে। 

আরো পড়ুন: গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে আরেকটি জেব্রা–শাবকের জন্ম

সাদা বক অনেক উপকারে আসে। ধানের চারা লাগানো জমিতে মাজরা পোকা, পামরি পোকা, কেঁচো, ফড়িং, তুরকুলা পোকা দেখা যায়। যা ফসলের ক্ষতি করে। ক্ষেতে পানি দেয়ার পর এই সব পোকা ভাসতে থাকে আর তা খেয়ে ফসলের উপকার করে বক। কিন্তু এখন এই সাদা বক আগের মতো আর দেখা যায় না। অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার, পরিবেশ দূষণ, বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল সঙ্কট, লোভী পাখি শিকারিদের ফাঁদে পড়ে সাদা বক প্রায় বিলুপ্তির পথে।

এম/


বর্ষা সাদা বক বিলুপ্তি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন