ছবি : সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে বক্তব্য দেওয়া ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় এই মামলা দায়ের করেন মো. মহিউদ্দিন সিকদার নামে এক ব্যক্তি। মামলার আসামি মোট তিন জন।
মামলায় আসামি করা হয়েছে মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফী ওরফে মিয়া আরেফী, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল হাসান সোহরাওয়ার্দী এবং বিএনপি নেতা মো. ইশরাক হোসেনকে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (২৮ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষোভ থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা কাকরাইল মোড় থেকে আরামবাগ পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবনসহ সরকারি স্থাপনা ও সরকারি গাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করে।
সংঘর্ষের ফলে পুলিশের ৪১ জন আহতসহ একজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়। এক পর্যায়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বিকাল ৩টার দিকে মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেন। বিএনপি'র এই কর্মকাণ্ডের পরবর্তী সময়ে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ২৮ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে আনুমানিক ২০ জন নেতাকর্মীসহ বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমের সামনে উপস্থিত হন। তখন ১ নম্বর আসামি মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফী ওরফে মিয়া আরাফী নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা পরিচয় দেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন ও বিচার বিভাগের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তার সরকারের কাছে সুপারিশ করেছেন মর্মে এক নম্বর আসামি বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি দাবি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার দিনে ১০-১৫ বার যোগাযোগ হয় এবং মার্কিন সরকারের সবাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে।
তিনি আরও দাবি করেন যে তিনি মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরকেও বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেছেন। এ সময় অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল হাসান সোহরাওয়ার্দী এবং বিএনপি নেতা মো. ইশরাক হোসেন আসামিকে মিথ্যা বক্তব্য প্রদানে সহায়তা ও বিএনপি নেতাকর্মীদের আইন-শৃঙ্খলায় অবনতি ঘটাতে উসকানি দেন। বক্তব্য শুনে এবং ভিডিও দেখে দেশের আইন-শৃঙ্খলায় ব্যাপক অবনতি ঘটে। বিএনপি নেতাকর্মীদের মনোবল বাড়াতে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ করেন তারা।
আই.কে.জে/