ছবি-সংগৃহীত
খেতে সুস্বাদু মাশরুম পুষ্টিগুণেও অনন্য। মাশরুম অত্যন্ত পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও ঔষধি গুণাগুণসম্পন্ন খাবার। এতে আছে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, অ্যামাইনো এসিড, অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। স্বাদ, পুষ্টি ও ঔষধিগুণের কারণে ইতোমধ্যেই এটি সারাদেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বর্তমানে আমাদের দেশের বিভিন্ন স্থানে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মাশরুম চাষ হচ্ছে।
বিশেষ করে শিক্ষিত তরুণ যুবকরা মাশরুম চাষ করছেন। গৃহিণীরাও চাষ করছেন। অর্থাৎ আমাদের দেশে ঘরোয়াভাবে এবং বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হচ্ছে। মাশরুম আমাদের দেশের বেকার সমস্যা সমাধান এবং বাড়তি আয়ের উৎস হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। জাতীয় অর্থনীতিতে মাশরুম বিশেষ অবদান রাখতে পারে। মাশরুমের উৎপাদন বৃদ্ধি ও রপ্তানির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
ইতিমধ্যে নেত্রকোণায় বাণিজ্যিকভাবে এখন চাষ করা হচ্ছে মাশরুম। জেলায় এই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে মাশরুম চাষ করে সফলতা পেয়েছেন যুবক রিয়াদুল ইসলাম। মাশরুমের চাষ করে ভালো ফলন পাওয়ায় লাভবান হয়েছেন তিনি। আগামীতে আরো বড় পরিসরে মাশরুম চাষ করার স্বপ্ন দেখছেন। মাশরুম চাষে তার এই সফলতা দেখে এলাকার অনেকেই চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
জানা যায়, নেত্রকোনা সদর উপজেলার আমতলা ইউনিয়নের বুরিজুড়ি গ্রামের শিক্ষিত যুবক রিয়াদুল ইসলাম। অনলাইনে ভিডিও দেখে মাশরুম চাষে আগ্রহী হন তিনি। প্রথমেই বাড়িতে ছোট পরিসরে শুরু করেছিলেন মাশরুমের চাষাবাদ। পরে পরিবারের অন্য সদস্যরাও তাকে সহযোগিতা করেন।
বর্তমানে ভালো ফলন পাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন তিনি। আগামীতে আরো বড় পরিসরে মাশরুম চাষের পরিকল্পনা আছে তার।
আরো পড়ুন: ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে নওগাঁর কৃষকদের
রিয়াদুল বলেন, এ জেলায় আমিই প্রথম মাশরুম চাষ করি। প্রথমবার চাষেই বেশ ভালো ফলন পেয়েছি। আমার এই মাশরুম চাষাবাদ দেখতে প্রতিদিন অনেকেই ভিড় করছেন। আমি তাদেরকে চাষ বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শও দিচ্ছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা জানান, এ জেলায় মাশরুমের চাষাবাদ বাড়াতে কৃষকদের প্রশিক্ষণসহ নানা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। রিয়াদুলের সফলতা দেখে আরো অনেকেই মাশরুম চাষে এগিয়ে আসবেন। আমরা তাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।
এসি/ আই.কে.জে/