ফাইল ছবি (সংগৃহীত)
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ, তাইওয়ান, ইউক্রেনের যুদ্ধসহ বিশ্বব্যাপী উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মুখোমুখি বৈঠক করবেন।
আগামী বুধবার (১৫ নভেম্বর) ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকো উপসাগরীয় অঞ্চলে এ বৈঠক হবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। এতে অংশ নিতে পারেন বেইজিং এবং ওয়াশিংটনের কর্মকর্তাদের পৃথক দল।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা যায়।
জানা গেছে, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, তাইওয়ান, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, উত্তর কোরিয়া, মানবাধিকার, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ন্যায্য বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্কসহ বৈশ্বিক ইস্যুগুলো বৈঠকে আলোচিত হবে।
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে উড়ে আসা সন্দেহভাজন একটি চীনা গুপ্তচর বেলুন ভূপাতিত করা হয়। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়। এরপর বৈরী সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের জন্য তৎপরতা শুরু করে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, চীনের সঙ্গে আমাদের সবকিছু আলোচনার টেবিলে আছে। চীনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে 'দৃঢ়প্রতিজ্ঞ' বাইডেন প্রশাসন।
জানা যায়, চীন যে সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী আলোচনার টেবিলে সেগুলো আগে উল্লেখ করা হবে। আশা করা যাচ্ছে যে চীন যেহেতু তাইওয়ানে স্বাধীনতাকে সমর্থন করে না তাই যুক্তরাষ্ট যাতে করে তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন না করে সে ষয়টি তুলে ধরা হবে। যেখানে আগামী বছরের শুরুতে তাইওয়ানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
চীনে প্রযুক্তি রপ্তানিতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এবং দক্ষিণ চীন ও পূর্ব চীন সাগরে বেইজিংয়ের আঞ্চলিক দাবি নিয়ে উত্তেজনা নিয়েও আলোচনা হবে। বাণিজ্য ও প্রতিযোগিতা নিয়ে এই মূল মতবিরোধ ছাড়াও বাইডেনের সবচেয়ে জরুরি অনুরোধ হবে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার বিরুদ্ধে বেইজিংয়ের সমর্থন ব্যবহার করে ইরানকে দমন করা।
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন যে বাইডেন-শি জিনপিং মুখোমুখি বৈঠকের ফলে কিছু সাফল্য আসতে পারে যেমন সামরিক যোগাযোগ পুনরুদ্ধার। তবে কেউ কাউকে ছাড় দেবেন না বলেও মনে হচ্ছে।
তবে চীনের মার্কিন রাষ্ট্রদূত শি ফেং সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্ক উন্নয়নে ইতিবাচক পদক্ষেপে কাজ করছে। দুবাইয়ে চলতি মাসের শেষে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া কপ-২৮ শীর্ষ সম্মেলনকে সামনে রেখে শুক্রবার বৈঠক করেছেন শি ফেং ও জন কেরিসহ দুই দেশের উচ্চপদস্থ কূটনীতিকরা। এ বৈঠকে জলবায়ু ইস্যুতে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু চুক্তিতে একমত হয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
এসকে/