ছবি: সংগৃহীত
মিরপুর শের-ই-বাংলায় ১১ বছর পর খেলবে বাংলাদেশ নারী দল। চেনা মাঠ যখন অচেনা; তখন ভারতকে শক্তিশালী ভাবতে বাধ্য নিগার সুলতানা। অবশ্য লিটন দাসের মতো প্রশ্নের পিঠে সহজ উত্তর খোঁজার চেষ্টা নারী অধিনায়কেরও। ভারতকে হারানোর সুখস্মৃতি রয়েছে বাংলাদেশের। তবে সেই দলের সঙ্গে বর্তমান টাইগ্রেসের পার্থক্য নেহাত কম না।
২০২৪ বিশ্বকাপ পরিকল্পনায় সিনিয়রদের রেখে তারুণ্যে আস্থা স্বাগতিকদের। নিজেদের বোলিং আক্রমণকে এগিয়ে রাখলেন অধিনায়ক। আর দলের গেইম চেঞ্জার অলরাউন্ডার স্বর্ণা আক্তার। ১৪০ রানের মধ্যে প্রতিপক্ষকে বেধে ফেলার কথা বলেন হেড কোচ হাসান তিলকারত্নে। র্যাংকিং আর নামের বিচারে এগিয়ে থাকা ভারতের বিপক্ষে আত্মবিশ্বাসী থাকার পরামর্শ বাংলাদেশ মাস্টারমাইন্ডের।
আজ থেকে মিরপুরে ভারত নারী দলের বিপক্ষে শুরু হচ্ছে টাইগ্রেসদের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি আশা প্রকাশ করে জানান, ঘরের মাঠে ভালো ফল পক্ষে আনতে চান তারা। বলেন, ‘প্রথমত দেখেন যে, অনেক দিন পর আমাদের এখানে খেলা, আমাদের রোমাঞ্চ কাজ করছে। এর চেয়ে বেশি কাজ করছে, আমাদের ভালো করার ইচ্ছে। কারণ, আমরা জানি যতই ভালো ক্রিকেট খেলি, যদি জিততে না পারি, সেক্ষেত্রে সেই ভালোটার মর্ম থাকে না। এই মোমেন্টামটা পিক করার জন্য হোল্ড করে আছি। দল হিসেবে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলতে খেলতে শেষ মুহূর্তে গিয়ে ম্যাচ জিতছি না। হয়তো দেখা যাচ্ছে, একটা ম্যাচ জিততেছি। আমরা চাচ্ছি, ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলি। জেতার হারটা বেড়ে যায়। বিশ্ব ক্রিকেট যেভাবে উন্নতি করছে, আমাদের জয়ের হারটা বাড়াতে হবে। পুরো দলের এটাই ইচ্ছা।’
আরো পড়ুন: স্পেনকে হারিয়ে শিরোপা জিতল ইংল্যান্ড
সফরকারীদের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ১৩টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে জয় এসেছে শুধু দুটিতে। তবে সেগুলো বাংলাদেশের ইতিহাস গড়া ২০১৮ এশিয়া কাপে। তবে এবার বেশ আত্মবিশ্বাসী টাইগ্রেস অধিনায়ক। জ্যোতি বলেন, ‘আমি চাচ্ছি না ওদেরকে নিয়ে এভাবে চিন্তা-ভাবনা করতে। আমার মনে হয়, আমাদের ক্রিকেটাররা যদি ভালো ক্রিকেট খেলতে পারে তখন আমার কাছে মনে হয় আমরা ভালো ফল পাব। ওরা আমাদের চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলে এসেছে, আমরা কিন্তু সম্প্রতি দ্বিপাক্ষিক সিরিজের মধ্যে এসেছি। এফটিপিতে আছি। নিয়মিত ভিত্তিতে ম্যাচ খেলব। খেলতে খেলতে কিন্তু অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমার কাছে মনে হয় আমাদের কাছেও সেই সুযোগ আছে, ম্যাচ খেলে খেলে অভিজ্ঞ হওয়ার।’
এম/