বুধবার (০৫ জুলাই) মোহাম্মদপুরের আদাবরে ড্রোনের সাহায্যে ছাদ বাগানে মশার প্রজননস্থল চিহ্নিতকরণের লক্ষে এ সার্ভে কার্যক্রম শুরু ।। ছবি: সংগৃহীত
মশার প্রজননক্ষেত্র খুঁজতে এবারও ড্রোন উড়িয়ে জরিপে নেমেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। পনের দিনব্যাপী এ জরিপ কার্যক্রমের আওতায় বাসাবাড়ির ছাদবাগানের সংখ্যা নিরূপণের পাশাপাশি জমে থাকা পানির অস্তিত্ব খুঁজবে ড্রোন বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম রেজা।
বুধবার (০৫ জুলাই) মোহাম্মদপুরের আদাবর এলাকায় ড্রোনের সাহায্যে ছাদ বাগানে মশার প্রজননস্থল চিহ্নিতকরণের লক্ষে এ সার্ভে কার্যক্রম শুরু করে এ তথ্য জানান ডিএনসিসির এ কর্মকর্তা।
তার দাবি, ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে খুব সহজে এবং কম সময়ের মধ্যে এডিসের প্রজননক্ষেত্র খুঁজে পাওয়ার পাশাপাশি ধ্বংস করা যাবে তার লার্ভা। তবে বিষয়টিকে স্বাগত জানালেও শুধু ড্রোনের উপর নির্ভর না করে মশার অন্যান্য ক্ষেত্রসমূহ নিধনের কাজ চালানোর আহ্বান নগরবাসীর।
এ সিটির উদ্যোগে দ্বিতীয় বারের মতো শুরু হয় ড্রোন দিয়ে মশার প্রজননক্ষেত্র নিরূপনের জরিপ। অভিযানে ড্রোন উড়িয়ে বহুতল ভবনে থাকা ছাদবাগান খুঁজে খুঁজে দেখা হয়, আবার কোথাও পানি জমে আছে কিনা তাতে এডিসের লার্ভা জন্ম নিয়েছে কিনা। পাশাপাশি কোনো ছাদবাগানে জমা পানির অস্তিত্ব আছে কিনা সেটিও নিরূপর করা হয় এ জরিপের মাধ্যমে।
সকালে ড্রোন পরিচালিত এ জরিপের উদ্বোধন করেন উত্তর সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম রেজা। ড্রোনের সাহায্যে এবছর উত্তর সিটির আওতাধীন সকল ভবনে জরিপ চালানো হবে বলে জানান তিনি।
সেলিম রেজা আরও বলেন, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে (ডেঙ্গু) সারা বছরই বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে ডিএনসিসি। তবে দিন দিন ভয়ঙ্কর হচ্ছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। এখন বর্ষা মৌসুমে এডিস মশার উপদ্রব বেড়েছে। এডিস মশা নিধনে ড্রোনের মাধ্যমে বাসাবাড়ির ছাদে পানি জমে আছে কি না বা জমে থাকা পানি মশার প্রজনন আছে কি না তা সার্ভে করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী চার দিনের মধ্যে পৃথক পাঁচটি ড্রোনের মাধ্যমে নগরের বাসাবাড়িগুলো সার্ভে করা হবে। বেলা ১১টায় মোহাম্মদপুরের আদাবর এলাকায় ড্রোনের সাহায্যে ছাদ বাগানে মশার প্রজননস্থল চিহ্নিতকরণের লক্ষ্যে সার্ভে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
গত বছর প্রথম ড্রোন দিয়ে বাসাবাড়িতে জরিপ কাজ চালায় সংস্থাটি। তখন ৩ লাখ ৬৫ হাজার ভবন পরিদর্শন করে ২ হাজার ৮শ বাড়ির ছাদ বাগানের অস্তিত্ব পায় সংস্থাটি। যার মধ্যে আড়াইশ বাড়িতেই মেলে এডিসের লার্ভা।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, এডিস মশা স্বচ্ছ পানিতে জন্মায়। তাই বাসা বাড়িতে কোনো পাত্রে পানি জমতে দেয়া যাবে না। ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে প্রত্যেককে নিজ নিজ আঙ্গিনা পরিষ্কার রাখতে হবে।
আরো পড়ুন: মশা নিধনে দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাজের পরিধি বাড়ানোর আহ্বান : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এসময় ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম শফিকুর রহমানসহ স্থানীয় কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত: মশার প্রজনন ক্ষেত্র খুঁজতে এবারও ড্রোন উড়িয়ে জরিপে নামল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। এছাড়াও গতকাল এডিস মশা নিধনের মাধ্যমে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের লক্ষে বিশেষ চিরুনি অভিযান শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
এম এইচ ডি/