ছবি: সংগৃহীত
খুলনা-২ (সদর-সোনাডাঙ্গা) আসনে নৌকার প্রার্থী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাতিজা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ সালাহউদ্দিন। তিনি এলাকায় হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবেই পরিচিত। ওই এলাকার ভোটারদের ভাষ্য, জয়ের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের নৌকার মাঝি শেখ সালাহউদ্দিন নির্ভার। কারণ তার কোনো চ্যালেঞ্জই নেই।
তারা জানান, আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ সালাহউদ্দিন জোরেশোরেই প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। নগরীতে তার পোস্টারই বেশ চোখে পড়ছে। সেই সঙ্গে তার প্রচারণাও অনেক শোনা যাচ্ছে। কিন্তু অন্য প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা সীমিত হচ্ছে।
তার প্রতিপক্ষ পাঁচ প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে নতুন মুখ। এর মধ্যে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাহউদ্দিনের একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) হিসেবে পরিচিত। এই নিয়ে ওই এলাকার চলছে জোর আলোচনা। অনেকে বর্তমান এমপির পিএসকে ডামি প্রার্থী বলে উল্লেখ করছেন।
মো. ওসমান খাঁনসহ কয়েকজন সাধারণ ভোটার জানান, ছয়জন প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় পার্টির মো. গাউসুল আজম কিছুটা পরিচিত। সাঈদুরকে নৌকার প্রার্থী শেখ সালাহউদ্দিনের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে লোকজন চেনে। অন্য প্রার্থীরা অপরিচিত। তাই এ আসনে সালাহউদ্দিনের কোনো শক্ত প্রতিপক্ষ নেই।
আরো পড়ুন: বিএনপির লিফলেট বিতরণকে ‘রহস্যময়’ বললেন কাদের
তবে সালাহউদ্দিনের ব্যক্তিগত সহকারী সাঈদুরকে ঘিরে ভোটারদের কৌতূহল আছে। যদিও তিনি প্রচারে নেই। স্থানীয়দের মতে, তিনি মূলত ডামি প্রার্থী। অন্য প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে সড়ে গেলে যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো নির্বাচনে কেউ থাকে, সে লক্ষ্যেই সাঈদুর প্রার্থী হয়েছেন। যেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সালাহউদ্দিনকে নির্বাচিত হতে না হয়।
খুলনা-২ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন ছাড়া অন্য পাঁচ প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সাঈদুর রহমান (ঈগল), জাতীয় পার্টির মো. গাউসুল আজম (লাঙ্গল), বাংলাদেশ কংগ্রেসের দেবদাস সরকার (ডাব), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের বাবু কুমার রায় (ছড়ি) ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন (নোঙর)।
রূপসা নদী আর ভৈরব ও ময়ূর নদের তীরে মহানগরী খুলনা। সদর, সোনাডাঙ্গা ও লবণচরা থানা এলাকা নিয়ে গঠিত খুলনা-২ আসন। এই আসন ঘিরেই আবর্তিত হয় খুলনা জেলাসহ বিভাগের রাজনীতি। আন্দোলন, সংগ্রাম থেকে শুরু করে জেলা ও বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলোও এই সংসদীয় এলাকায়। তবে এই আসনটি বেশ আগে থেকেই জামায়াত-বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।
১৯৯১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত আসনটি বিএনপির দখলে ছিল। এর মধ্যে ২০০১ সালে এই আসন থেকে জয়লাভ করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ২০১৪ সালে বিএনপিবিহীন নির্বাচনে এ আসনে জয়লাভ করেন মিজানুর রহমান মিজান। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে আসনটি আরও পাকাপোক্ত করেন বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ সালাহউদ্দিন।
এসকে/
খবরটি শেয়ার করুন