চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলো রাশিয়ান সরকারের মালিকানাধীন প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলোকে ন্যাভিগেশন সরঞ্জাম, ফাইটার জেট যন্ত্রাংশ ইত্যাদি প্রদান করছে। হংকং এবং চীনের ব্যবসায়ীরা এখনও রাশিয়াকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে চলেছে।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে, গ্রুপ অব সেভেন বা জি-৭ রাশিয়ান অপরিশোধিত তেলের উপর ৬০ মার্কিন ডলার মূল্যের সীমা আরোপ করার পর, চীন রাশিয়ার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তেল ক্রয় করে রাশিয়াকে রাজস্ব প্রদান করছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২২ সালে চীন থেকে রাশিয়ান আমদানি ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৭৬০ কোটি মার্কিন ডলারে এসে পৌঁছেছে। অন্যদিকে চীন থেকে রপ্তানি ৪৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১১৪০ কোটি মার্কিন ডলার হয়েছে। ২০২২ সালে চীন এবং রাশিয়ার মধ্যে মোট দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১৯০০ কোটি মার্কিন ডলারের রেকর্ড গড়েছে।
রাশিয়াকে যে কোনও ধরনের নিষেধাজ্ঞা এবং রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ এড়াতে চীন ঠিক কতোটা সাহায্য করেছে তা নির্ণয় করা কঠিন।
পূর্বে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ভয়াবহতা এড়াতে রাশিয়ার কাছে প্রাণঘাতী অস্ত্র বিক্রি করার ব্যাপারে চীনকে সতর্ক করে৷ চীন রাশিয়াকে প্রাণঘাতী অস্ত্র প্রদান করেছে এ বিষয়ক কোনও প্রমাণও এখন পর্যন্ত পায়নি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
আরো পড়ুন: ইরানের করিডোর ব্যবহার করে আর্মেনিয়ায় অস্ত্র সরবরাহ ভারতের
যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে যে যুদ্ধের শুরুতে, চীন রাশিয়ার কাছে ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য প্রাণঘাতী অস্ত্র বিক্রি করতে চেয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তারা আর সেটা করেনি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানালেও চীন মূলত প্রকাশ্যে রাশিয়াকে কখনোই সমালোচনা করে নি। বরং রাশিয়ার সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের দিকেই বারবার মনোযোগ দিয়েছে চীন।
এম এইচ ডি/ আই. কে. জে/