ফাইল ছবি
নোবেল পুরষ্কার ২০২৩ ঘোষণা শুরুর পর থেকেই গুঞ্জন-জিজ্ঞাসা চলছে শান্তিতে নোবেল পাচ্ছেন কে বা কারা। গত ৫০ বছর ধরে নরওয়ের নোবেল কমিটি কখনোই শান্তিতে নোবেলপ্রত্যাশীদের তালিকা আগেভাগে প্রকাশ করেনি।
তবে মনোনীতদের সংখ্যা জানায় কমিটি। যেমন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জানিয়েছিল এবারের প্রাথমিক তালিকায় ৩০৫টি নাম আছে। তবে এই ২১২ ব্যক্তি ও ৯৩ সংস্থার নাম কিন্তু জানা যায়নি। এখন প্রশ্ন হলো কারা আছেন এই তালিকায়?
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ইতোমধ্যে সম্ভাব্য নোবেলজয়ীদের নাম উল্লেখ করে বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেগুলোতে ঘুরে ফিরে আসছে ইরানের নারী আন্দোলন, রাশিয়ায় ইউক্রেনের আগ্রাসন, জলবায়ু ও মানবাধিকার ইস্যুর সঙ্গে জড়িত আলোচিত ব্যক্তি ও সংস্থার নাম।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সবচেয়ে বেশি গুঞ্জন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলোনস্কি ও রাশিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা অ্যালেক্সেই নাভানলিকে নিয়ে। দু'জনই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনবিরোধী অবস্থানের জন্য খ্যাতি অর্জন করেছেন।
রয়েছেন চীনের শি জিন পিং-নীতির কট্টর সমালোচক ইলহাম তোহতিও। চীনের মুসলিম উইঘুর সম্প্রদায়ের জন্য লড়াই করে এরইমধ্যে ইউরোপের মানবাধিকার বিষয়ক সর্বোচ্চ সম্মাননা অর্জন করে নিয়েছেন ২০১৪ সাল থেকে কারাবন্দি এই নেতা।
তবে নোবেল বিশেষজ্ঞরা এসব রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নোবেল জয়ের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। তারা বলছেন, ইরান থেকে চীন, নারী অধিকার, আদিবাসী অধিকার ও পরিবেশ রক্ষার সঙ্গে জড়িতরাই এবার পুরষ্কার পাবেন।
রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্টকহোমের ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড্যান স্মিথ বলেন, 'এখন সময়টাই অশান্তির। জলবায়ু পরিবর্তনের মতো সংকট পুরো পৃথিবীর ওপর চাপ বাড়াচ্ছে।' এ অবস্থায় এবার নোবেল জয়ে গ্রেটা থুনবার্গের মতো পরিবেশকর্মী বা রাওনি মেটুকটায়ারের মতো ব্রাজিলের আদিবাসী কর্মীরাই গুরুত্ব পাবে বলে মনে করেন তিনি।
অসলোর পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক হেনরিক উর্ডালও শান্তিতে নোবেল জয়ী বাছাইয়ে একই ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তার মতে, ২০২৩ সাল হচ্ছে বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার ঘোষণার ৭৫তম বছর। তাই সময়ের প্রেক্ষাপটে এবার পুরষ্কার জয়ে মানবাধিকার কর্মীরাই গুরুত্ব পাবে।
তার নিজের পছন্দের শর্ট লিস্টে রয়েছেন, ইরানের নার্গিস মোহাম্মদী, আফগানিস্তানের মাহবুবা সিরাজ, ফিলিপাইনের ভিক্টোরিয়া তাউলি-কর্পুজ, ইকুয়েডরের হুয়ান কার্লোস জিনতিয়াচ ও জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কায়ে মো তুন। সংস্থা হিসেবে রয়েছে- নেদারল্যান্ডসের হেগের আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত– আইসিজে।
একে/