রাজধানী ঢাকায় সোমবার (১৬ আগস্ট) রাতে যে ভূমিকম্প হয়েছে, রিখটার স্কেলে সেটির মাত্রা সাড়ে ৫ ছিল। গত ২০ বছরে দেশের ভেতরে উৎপত্তি হওয়া ভূমিকম্পগুলোর মধ্যে এই মাত্রা সর্বোচ্চ।
ভূমিকম্পটিতে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে অনেকটা সময় ধরে কম্পন হওয়ায় নগরের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এটির ব্যাপারে ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা বলেন, এবারের ভূমিকম্পটি হয়েছে বাংলাদেশের ভূগর্ভের ডাউকি চ্যুতি নামে পরিচিত চ্যুতিরেখা বা ফাটল বরাবর। গত কয়েক বছরে এই চ্যুতিরেখায় বেশ কিছু ভূমিকম্প হয়েছে। এটা বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা জাগাচ্ছে।
দেশে সোমবার রাত ৮টা ৪৯ মিনিটে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানায়, এর উৎস ছিল ঢাকা থেকে ২২৮ কিলোমিটার দূরে সিলেটের কানাইঘাট ও ভারতের আসাম সীমান্তের কাছে। ভূগর্ভের ১০ কিলোমিটার গভীরে এর উৎপত্তি। ভূমিকম্পটির কম্পন রাজধানীসহ সারা দেশে ভালোই অনুভূত হয়েছে।
ঢাকার শেওড়াপাড়ার বাসিন্দা উম্মে সালমা গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, তিনি যে ভবনে বাস করেন, সেটিতে মিনিটখানেকের বেশি সময় কম্পন হয়েছে বলে তাঁর মনে হয়েছে। এতে তিনি আতঙ্কিত হয়ে সন্তানসহ ভবন থেকে নেমে যান। তিনি বলেন, ‘ভূমিকম্পে বিল্ডিং এতটা কাঁপতে কখনো দেখিনি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের হিসাবে, গত ৪৮৫ বছরে বাংলাদেশ ভূখণ্ডের ভেতরে ও ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে ৫২টি মৃদু, মাঝারি ও তীব্র মাত্রায় ভূমিকম্প সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে মাত্র ছয়টি ভূমিকম্প হয়েছিল ঢাকা ও এর আশপাশে। গত এক যুগে ঢাকার আশপাশে মোট আটটি ভূমিকম্প হয়েছে। এসব ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী ও দোহারে। এর আগের ভূমিকম্পের বেশির ভাগ কেন্দ্রস্থল সিলেট ও চট্টগ্রাম এলাকায় ছিল।
এম.এস.এইচ/
খবরটি শেয়ার করুন