শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সস্তায় মিয়ানমারের বন্দর বেচে দিল ভারতের আদানি পোর্টস

ডেস্ক নিউজ

🕒 প্রকাশ: ১১:০৯ অপরাহ্ন, ৮ই মে ২০২৩

#

ফাইল ছবি: রয়টার্স

ভারতের আদানি গোষ্ঠী মিয়ানমারে তাদের মালিকানাধীন একটি বন্দর বিক্রি করে দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেড বলেছে, নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত মিয়ানমারের সেই বন্দর তিন কোটি ডলারে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে, যদিও এই প্রকল্পে তারা এর চেয়ে অনেক বেশি অর্থ বিনিয়োগ করেছিল।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান হওয়ার পর জান্তার গণবিক্ষোভ দমন–পীড়নের ঘটনায় মিয়ানমার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চক্ষুশূল হয়ে ওঠে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে। এরপর সে বছরের মে মাসে আদানি গোষ্ঠী বন্দরটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়। তবে নানা চ্যালেঞ্জের কারণে এত দিন বন্দরটি বিক্রি করা যায়নি।

তবে এই খবরে গত বৃহস্পতিবার আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারদর ১ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে যায়।

আদানি পোর্ট মূলত ২০২২ সালের মার্চ থেকে জুন মাসের মধ্যে এই বন্দর ছেড়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু বিলম্বের কারণে ক্রেতারা বন্দরের বিক্রয়মূল্য নিয়ে দর-কষাকষি করতে পেরেছে। শেষমেশ সোলার এনার্জি লিমিটেড তিন কোটি ডলারে এই বন্দর কিনে নিচ্ছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বরাবর এক চিঠিতে আদানি গোষ্ঠী এই তথ্য দিয়েছে। তবে এই সোলার এনার্জি কোথাকার কোম্পানি, সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে মিয়ানমারে আন্তর্জাতিক টার্মিনাল তৈরির চুক্তি পেয়েছিল আদানি গ্রুপ। টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য ৫০ বছরের চুক্তি হয়েছিল। বিনিয়োগও করেছিল আদানি গোষ্ঠী; কিন্তু এরপরেই নানা বিপত্তি ঘটে।

আরো পড়ুন: ঘরে ডেকে কর্মীদের শারীরিক হেনস্থা! পুলিশে অভিযোগ দিতেই পলাতক সন্ন্যাসী

অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, আদানি পোর্টস আমেরিকান ট্রেজারি বিভাগ কর্তৃক নিষিদ্ধ করা একটি কোম্পানির সঙ্গে লেনদেন করেছে। মূলত, এই নিষেধাজ্ঞার কারণেই ক্রেতা পেতে যথেষ্ট জটিলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল আদানি গ্রুপ। অবশেষে সেই জটিলতা কাটল বলেই জানা গিয়েছে।

এর আগে ২০২১ সালে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বরাবর আদানি গোষ্ঠীর আরেক চিঠিতে জানা যায়, এই প্রকল্পে ১২ কোটি ৭০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করেছিল তারা। এর মধ্যে জমি ইজারা নিতে কাজ শুরুর আগেই ৯ কোটি ডলার ব্যয় করেছিল আদানি গোষ্ঠী।

তবে এ বিষয় সম্পর্কে জানেন—এমন ব্যক্তিরা রয়টার্সকে বলেছেন, এই গ্রিনফিল্ড প্রকল্পে আদানি গোষ্ঠী ১৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করেছিল। তবে এই বন্দরের কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি।

এ বিষয়ে আদানি পোর্টস তাৎক্ষণিকভাবে রয়টার্সের কাছে কোন মন্তব্য করেনি।

এম এইচ ডি/ আইকেজে 

বাণিজ্য ভারত আদানি গোষ্ঠী মিয়ানমার বন্দর আদানি পোর্টস

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন