ছবি-সংগৃহীত
হোটেল প্রসঙ্গ এলেই চলে আসে পাঁচ তারকা হোটেলের কথা। কিন্তু অনেকেরই জানা নেই পাঁচ তারকা হোটেল ও অন্যান্য হোটেলের মধ্যে পার্থক্য কী। এছাড়া অনলাইনে হোটেল বুকিং করতে গিয়েও এটি নিয়ে দ্বিধার মধ্যে পড়েন অনেকে। এ বিষয়ে স্পষ্ট একটি ধারণা থাকলে আর সমস্যায় পড়তে হয় না।
এক তারকা হোটেল
যেসব হোটেলে থাকার ব্যবস্থা খুব সাধারণ। এবং সেখানে থাকতে খুব বেশি খরচও করতে হয় না। তবে শৌচাগার, পানি ও রুম সার্ভিস সুবিধা দেওয়া হয়। সেগুলো এক তারকা হোটেল।
দুই তারকা হোটেল
টু-স্টার হোটেলের ভাড়া মধ্যম মানের হয়। সেখানে থাকতে গেলে আপনাকে একদিনে অন্তত ১৫০০ টাকা খরচ করতে হবে। এখানে অতিথিরা এক তারকা হোটেলের চেয়ে একটু বেশি সুবিধা পেয়ে থাকেন।
তিন তারকা হোটেল
থ্রি-স্টার হোটেলে রুমের আকার বেশ বড় হয়। এছাড়া এতে এসি ও ইন্টারনেট সুবিধা দেওয়া হয়। পার্কিং সুবিধাও থাকে। এ হোটেলে থাকতে গেলে আপনার ৩-৪ হাজার টাকা লাগবে।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশের পর্যটনে নারীর অংশগ্রহণ মাত্র ১৪.০৬ শতাংশ
চার তারকা হোটেল
ফোর স্টার হোটেলগুলোতে স্যুট রুম ও বাথরুমে বাথটাবের সুবিধা রয়েছে। সেখানে মিনি বার ও ফ্রিজ থাকে। এছাড়া রুমের আকার অনেক বড় হয়। এখানে রুম ভাড়া নিতে আপনাকে দিনপ্রতি অন্তত ৫-৭ হাজার টাকা গুণতে হবে।
পাঁচ তারকা হোটেল
পাঁচ তারকা হোটেলের যা যা বৈশিষ্ট্য থাকা বাধ্যতামূলক তা হলো, অন্যান্য হোটেলের তুলনায় বেশি ও বিলাসী সুবিধা রয়েছে এখানে। সেখানে আপনি যত টাকা খরচ করবেন তত বেশি সুবিধা নিতে পারবেন।
হোটেলের ভেতরে সুইমিং পুল, বিসনেস সেন্টার, জিম, টেনিস, ব্যয়ামাগার, রিসেপশন সার্ভিস, প্রশস্ত লবি, বিভিন্ন ধরনের রেঁস্তোরা, ডোর ম্যান সার্ভিস সঙ্গে ভ্যালে পার্কিং, বিউটি ট্রিটমেন্ট, সেলুন, ডিনার পার্টি, সেমিনার, প্যাসিফিক ক্লাব সুবিধা, বার, ২৪ ঘন্টা রুম সার্ভিস, স্টীম বাথ, সব কামরায় সিন্দুক, ড্রাই ক্লিনিং লন্ড্রি সার্ভিস, ইন্টারনেট, উন্নতমানের বাথরুম, কোনো কোনো ৫ তারকা হোটেলে হেলিকপ্টার রাখার ব্যবস্থাও থাকে।
এছাড়াও থাকে বহুভাষী স্টাফ, শপিং মল, অনুষ্ঠান উপভোগের সুযোগ আরও নানান সুযোগ-সুবিধা।
এসি/ আই. কে. জে/