সোমবার, ১লা জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্থাপত্যের মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ‘আর্কেশিয়া ২০২৩’ পেয়েছে পরীবাগের এই কনডোমিনিয়াম

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৫:২৫ অপরাহ্ন, ৩০শে সেপ্টেম্বর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

কোনোটা আবাসিক ভবন, কোনোটা শিল্পকারখানা, কোনোটা আবার পাহাড়ের বুকে গড়ে ওঠা অভিজাত রিসোর্ট। পরিবেশ ও প্রকৃতির কথা মাথায় রেখে গড়ে ওঠা ইট–কাঠের এসব ভবনই পেয়েছে স্থাপত্যের মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ‘আর্কেশিয়া ২০২৩’। বাংলাদেশের স্থপতিদের গড়া পুরস্কার বিজয়ী চার প্রকল্পের মধ্যে এখানে একটি প্রকল্পের গল্প।

জনবহুল ঢাকার প্রতি ইঞ্চি জমি হিরের মতো মূল্যবান। আর সেই শহরের বাসিন্দাদের জন্য প্রাকৃতিক পরিবেশে খোলামেলা বসতি তৈরি করা তো রীতিমতো চ্যালেঞ্জ। আর সেই চ্যালেঞ্জটাই নিয়েছিলেন স্থপতি মুস্তাফা আমিন। 

ঢাকার পরীবাগে  শান্তা প্রপার্টিজের প্রথম প্রজেক্ট হিসেবে দিগন্ত কনডোমিনিয়ামের নকশা করে ডোমাস আর্কিটেক্টস। এটা বেশ পুরোনো প্রকল্প। নির্দিষ্ট জায়গার মধ্যে পাশাপাশি তিনটি ভবন তৈরি করে সেগুলোর মধ্যে আবার সেতুবন্ধ ঘটিয়েছেন স্থপতি মুস্তাফা আমিন। 

১৫০টি অ্যাপার্টমেন্টের এই কনডোমিনিয়ামে ৩টি বেজমেন্ট মিলে ৩৫০টি গাড়ি রাখার ব্যবস্থা আছে। প্রতিটি টাওয়ারের পরই রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত ফাঁকা জায়গা। আলো–বাতাসের সুবিধা ছাড়াও আলাদা করে আছে সবুজ মাঠ। 

ভবনটি প্রসঙ্গে মুস্তাফা আমিন বলেন, ‘এটা ছিল শান্তার প্রথম প্রজেক্ট। আর জমির মালিক ছিলেন বিখ্যাত স্থপতি মাজহারুল ইসলাম। রমনা পার্ককে মাথায় রেখে সেই আবহে গড়ে তোলা হয় দিগন্ত। যেখানে অনেক মানুষের যাতায়াত থাকবে; কিন্তু দমবন্ধ লাগবে না। নকশায় সবুজায়নকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সবাই মিলে একসঙ্গে থাকা, দেখা হওয়া, কথা বলার মতো সামাজিকতার বিষয়গুলো মাথায় রাখা হয়েছিল।’

নকশায় এখানেও সবুজায়নকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে পরীবাগের এই দিগন্ত কনডোমিনিয়াম প্রকল্প এবার আর্কেশিয়ায় ‘বহুতল আবাসিক’ ক্যাটাগরিতে পেয়েছে সম্মানজনক স্বীকৃতি (অনারেবল মেনশন)।


একে/

‘আর্কেশিয়া পুরস্কার ২০২৩ দিগন্ত কনডোমিনিয়াম পরীবাগ

খবরটি শেয়ার করুন