ছবি: সংগৃহীত
ইসলামের ৫ম রোকন বা স্তম্ভ হলা হজ। মুসলমানদের মধ্যে শুধু ধনীদের জন্য জীবনে একবার হজ করা ফরজ। যাদের সামর্থ্য আছে তাদের জন্য এ নির্দেশ। হজ হলো পবিত্র নগরী মক্কায় অবস্থিত কাবা ঘর তাওয়াফ করা ও আনুষঙ্গিক কার্য সম্পাদন করা এবং ৯ জিলহজ আরাফার ময়দানে উপস্থিত হওয়া। হিজরি বছরের শেষ মাস জিলহজের ৯ তারিখ আরাফাতের ময়দানে একত্রিত হওয়ার মাধ্যমেই সম্পন্ন হবে পবিত্র হজ।
আগামী ২১ মে রাত পৌনে ৪টায় চলতি বছরের হজ মৌসুমের প্রথম হজ ফ্লাইট শুরু হবে। এ বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালনের অনুমতি পেয়েছেন। হজের উদ্দেশে রওয়ানা হওয়ার আগে এখনই শুরু হোক হজের প্রস্তুতি।
কোন হজ আদায় করবেন
হজ তিন ধরণের হয়ে থাকে। প্রত্যেক হজের আলাদা আলাদা নিয়ম আছে। এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কোন ধরনের হজ করবেন।
হজের প্রকারভেদ
হজ তিন প্রকার-
১. হজে ইফরাদ
২. হজে কিরান
৩. হজে তামাত্তু।
হজে ইফরাদ
হজে ইফরাদ হলো শুধু হজ করা। এর মধ্যে ওমরা সম্পৃক্ত নেই। যারা বদলি হজ আদায় করেন। অর্থাৎ অন্যের হজ পালন করেন, তারা ইফরাদ হজ করে থাকেন। ইফরাদ হজ পালনকারীর জন্য কোরবানি করা ওয়াজিব নয়।
হজে কিরান
ওমরা এবং হজ এক ইহরামে একত্রে আদায় করা হলো হজে কিরান। হজে কিরান আদায়কারীরা ইহরাম বেঁধে ওমরা পালন করবেন কিন্তু মাথা মুণ্ডাতে পারবেন না। ইহরাম থেকে বের হতে পারবেন না। এক ইহরামে হজও সম্পাদন করতে হবে। তারপর মাথা মুণ্ডাবেন। এটি পালন করা কষ্টকর হলেও এই হজ করা উত্তম।
হজে তামাত্তু
আলাদা আলাদা ইহরামে ওমরা ও হজ আদায় করা। প্রথম ইহরাম বেঁধে ওমরা সম্পন্ন করে মাথা মুণ্ডনের মাধ্যমে ইহরাম থেকে বের হবেন। তারপর জিলহজের ৭/৮ তারিখ পুনরায় ইহরাম বেঁধে হজ আদায় করবে। এভাবে আলাদা আলাদা ইহরামে ওমরা ও হজ পালন করাই হলো হজে তামাত্তু। এটি আদায় করার কষ্ট কম এবং তুলনামুলকভাবে সহজ।
কোথায় থেকে ইহরাম বাঁধবেন?
হজরত জায়েদ ইবনে যুবায়ের রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহর কাছে তার অবস্থান স্থলে যান, তখন তার জন্য তাঁবু ও চাদর টানানো হয়েছিল। হজরত জায়েদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন আমি তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম কোন স্থান থেকে ওমরার ইহরাম বাঁধা জায়েজ হবে? তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নজদবাসীর জন্য কারনুল, মদিনাবাসীর জন্য যুল-হুলাইফা ও সিরিয়াবাসীর জন্য যুহফা নির্ধারণ করে দিয়েছেন (বুখারি ১৪৩২)
বর্তমানে হাজিদের সংখ্যা ও বিভিন্ন দেশ থেকে আগমন অনুযায়ী ভিন্নতা মিকাতের ভিন্নতা রয়েছে।
বাংলাদেশিদের জন্য বলা প্রয়োজন যে, যারা বাংলাদেশ থেকে হজে গমন করেন তাদের অনেকেই রওয়ানা হওয়ার আগেই বাংলাদেশ থেকেই ইহরাম বেঁধে ফেলেন।
তবে যারা মক্কায় যাবেন তারা অবশ্যই ওমরা না করে ইহরাম খুলতে পারবেন না। তারা ওমরাহ না করে ইহরাম খুলে ফেললে তাদের কাফ্ফারা দিতে হবে।
আর যারা বাংলাদেশ থেকে আগে মদিনায় যাবেন, তারা দেশ থেকে ইহরাম বাঁধার প্রয়োজন নেই। বরং তারা মদিনা থেকে মক্কা রওয়ানা হওয়ার সময় ইহরাম বাঁধলেই চলবে। অথবা মক্কায় যাওয়ার সময় মিকাতে গিয়ে পবিত্র হয়ে ইহরাম বাঁধবে।
হজের ফরজ কাজগুলো জেনে নিতে হবে
হজ পালনে তিনটি কাজ করা ফরজ। যা না করলে হজ হবে না। যার কোনো কাফফারা নেই। হজের তিন ফরজের কোনোটি বাদ পড়লে পরবর্তী বছর আবার হজ করতে হবে। হজের ফরজগুলো হলো-
১. ইহরাম বাঁধা
ইহরাম বাঁধা অর্থাৎ হজের নিয়তে মিকাত (নির্দিষ্ট স্থান) থেকে সেলাইবিহীন দুই টুকরো কাপড় পরা।
২. আরাফাতের ময়দানে সমবেত হওয়া
হাদিসের পরিভাষায় ‘আলহাজ্জু আরাফাহ’ আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হওয়াই হজ। জিলহজের ৯ তারিখে সূর্যাস্তের আগের এক মুহূর্তের জন্য হলেও আরাফার ময়দানে অবস্থান করা। সূর্যাস্তের পর আরাফার ময়দান ত্যাগ করা।
৩. তাওয়াফে জিয়ারাহ করা
জিলহজ কোরবানি ও মাথা মুণ্ডনের পর থেকে ১২ই জিলহজ সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত যে কোনো সময়ে পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফ করা।
হজের ওয়াজিব কাজগুলো জেনে নিতে হবে
হজ পালনে অনেকগুলো কাজ করা ওয়াজিব। যার কোনোটি বাদ পড়লে দম বা কোরবানি দিতে হয়। হজের ওয়াজিবগুলো হলো-
১. মিকাতে ইহরাম বাঁধা
হজের উদ্দেশ্যে মিকাত (ইহরামের নির্দিষ্ট স্থান) ত্যাগ করার আগেই ইহরাম বাঁধা।
২. আরাফায় সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান
সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতেরর ময়দানে অবস্থান (ওকুফ) করা।
৩. কোরবানি করা
ক্বিরান বা তামাত্তু হজ আদায়কারীর জন্য কোরবানি আদায় করা এবং তা কংকর নিক্ষেপ ও মাথা মুণ্ডন করার মর্ধ্যবর্তী সময়ের মধ্যে সম্পাদন করা;
৪. সাঈ করা
সাফা ও মারওয়া পাহাড়ে সাঈ করা। সাফা পাহাড় থেকে সাঈ শুরু করা।
৫. মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে রাতে অবস্থান (ওকুফ) করা।
৬. তাওয়াফে জিয়ারাত আইয়্যামে নহরের (দিনের বেলায়) মধ্যে সম্পাদন করা।
৭. জামরায় শয়তানকে কংকর নিক্ষেপ করা।
৮. মাথা মুণ্ডন বা চুল ছাঁটা। তবে মাথা মুণ্ডনের আগে কংকর নিক্ষেপ করা।
৯. মিকাতের বাইরের লোকদের জন্য তাওয়াফে সদর বা বিদায়ী তাওয়াফ করা।
ইহরাম অবস্থায় যেসব কাজ নিষিদ্ধ
১. পুরুষের মাথা ও নারীদের মুখ ঢাকা।
২. সেলাই করা পোশাক পরা।
৩. আতর, সেন্ট, সুগন্ধি, খুশবু, তৈল, সাবান ইত্যাদি ব্যবহার করা।
৪. চুল, দাড়ি, গোঁপ, নখ কাটা ও চিরুনি ব্যবহার করা।
৫. চুল দাড়িতে হেজাব বা কলপ লাগানো।
৬. শরীর থেকে ময়লা সরানো, উকুন, পোকামাকড়, মশা-মাছি ইত্যাদি মারা নিষধ। তবে ক্ষতিকর সাপ, বিচ্ছু মারা যাবে।
৭. ঘাস, পাতা ইত্যাদি ছিঁড়া বা নিধন করা নিষেধ।
৮. বিবাহ করা বা দেওয়াসহ স্বামী-স্ত্রীর মিলন নিষিদ্ধ।
৯. কারও সমালোচনা করা, গিবত করা, হাসি-ঠাট্টা বা বিদ্রুপ করা, চুরি করা, প্রতারণা করা ইত্যাদি সম্পূর্ণ নিষেধ।
১০. এমনকি ইহরাম অবস্থায় ক্রয়-বিক্রয় করাও নিষিদ্ধ।
হজের সময় যেসব কাজে কাফফারা দিতে হবে
১. পূর্ণ বা আংশিক নাপাক অবস্থায় বা নারীদের হায়েজ (ঋতুস্রাব) অবস্থায় তাওয়াফে জিয়ারত করলে ‘বুদনা’ অর্থাৎ গরু বা উট কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব। তবে পবিত্র হওয়ার পর যদি ওই তাওয়াফ আদায় করা হয় তবে কোনো কাফফারা দিতে হবে না।
২. কোনো নারী যদি হায়েজ-নেফাস অবস্থায় কাবা শরিফ তাওয়াফ করে; তবে ওই নারীর জন্য আবার কাবা শরিফ তাওয়াফ করা ওয়াজিব। আর যদি কেউ ওজু ছাড়া কাবা শরিফ তাওয়াফ করে তবে তা আবার তাওয়াফ করা মোস্তাহাব।
৩. সাফা-মারওয়ার আংশিক কিংবা পূর্ণ সাঈ বিনা কারণে ছেড়ে দেয় তবে দম বা কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব। তবে আবার সাঈ করে নিলে কোরবানি বা দম দেওয়া লাগবে না।
৪. সাঈ এক, দুই, তিন চক্কর দিলে প্রতি চক্করের জন্য সাদকা দিতে হবে।
৫. আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত থাকার দিন ৯ জিলহজ। কেউ যদি আরাফাতের ময়দানে গিয়ে আবার ময়দান থেকে বের হয়ে যায় এবং সুর্যাস্তের আগে আবার ফিরে না আসে তবে তাকে কোরবানি দিতে হবে।
৬. নারী কিংবা অধিক বয়স্ক নারী-পুরুষ ভীষণ ভিড়ের ভয়ে মুজদালিফায় অবস্থান না করলে কোনো কাফফারা নেই। কিন্তু এ ধরনের ওজর না হলে নির্ধারিত সময়ের আগে মুজদালিফা ত্যাগের জন্য কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব।
৭. জিলহজের ১০ তারিখ মুজদালিফা থেকে মিনায় গিয়ে বড় জামরাতে কংকর নিক্ষেপ যদি ১১ তারিখ সুবহে সাদিকের আগে সম্পন্ন না করা হয় তবে কোরবানি দিতে হবে।
৮. মিনায় জামরায় পাথর নিক্ষেপ না করে মাথা মুণ্ডন করলে কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব।
৯. কিরান ও তামাত্তু হজ আদায়কারীরা কোরবানির আগে মাথা মুণ্ডন করলে কোরবানি করা ওয়াজিব।
১০. যারা কিরান ও তামাত্তু হজ আদায় করবে; তারা কংকর নিক্ষেপের আগে মাথা মুণ্ডন করলে কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব।
১১. প্রয়োজনে হোক আর বিনা প্রয়োজনে অল্প কিংবা বেশি পরিমাণে ছোট-বড় যে কোনো অঙ্গে অথবা দাড়ি, চুল, হাত বা পা ইত্যাদিতে সুগন্ধি ব্যবহার করলে কোরবানি দিতে হবে।
১২. ইহরামকারী একদিন একরাত সময় পরিমাণ সেলাই করা কাপড় পরিধান করলে কোরবানি এবং তার চেয়ে কম সময় হলে সাদকা দিতে হবে।
১৩. সেলাই করা বা না করা কাপড় দিয়ে মাথা মুখের চার ভাগের এক ভাগ ঢেকে রাখলে (একদিন এক রাতের চেয়ে বেশি সময় হলে) কোরবানি দিতে হবে। এর চেয়ে কম সময় হলে সাদকা দিতে হবে।
১৪. মাথা বা দাড়ির চার ভাগের এক ভাগ মুড়িয়ে ফেললে অথবা দেহের অন্য কোনো অংশের চুল ফেলে দিলে কোরবানি এবং চার ভাগের এক অংশের কম হলে সাদকা দিতে হবে।
১৫. একই বৈঠকে হাত-পায়ের নখ কাটলে কোরবানি দিতে হবে।
১৬. ছেঁড়া বা ফেটে যাওয়া নখ কেটে ফেললে কিংবা নখের আঘাতে নিজের হাত বা আঙুল কেটে ফেললে কোরবানি বা সাদকা কোনোটাই দিতে হবে না।
১৭. কোনো নারী বা পুরুষ পরস্পরকে উত্তেজনার সাথে স্পর্শ করলে কোরবানি দিতে হবে।
১৮. তাওয়াফে জিয়ারতের আগে স্বামী-স্ত্রী সহবাস করলে হজই বাতিল হয়ে যাবে। পরের বছর তাওয়াফে জিয়ারতের নির্ধারিত সময়ে তা আদায় করতে হবে। তবে হজ বাতিল হলেও কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব এবং অন্য হাজিদের মতো বাকি যাবতীয় কাজ করে যেতে হবে।
১৯. ওকুফে আরাফা তথা আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের পরে ও মাথা মুণ্ডনের আগে সহবাস করলে হজ বাতিল হবে না বটে, একটি গরু বা উট কোরবানি করা ওয়াজিব।
২০. ইহরাম ছাড়া মিকাত অতিক্রম করা উচিত নয়। মিকাতে ফিরে এসে ইহরাম বেঁধে নেয়া উচিত। ফিরে না এসে ইহরাম বাঁধলে একটি কোরবানি দিতে হবে।
২১. সব অথবা অধিকাংশ তাওয়াফ বিনা ওজুতে করলে কোরবানি দিতে হবে।
২২. যদি তাওয়াফে কুদুম বা বিদায়ী তাওয়াফ কিংবা অর্ধেকের কম তাওয়াফে জিয়ারত বিনা ওজুতে করে তবে প্রতিটি চক্করের জন্য সাদকা দিতে হবে। আর যদি ওজুসহ আবার তাওয়াফ করে, তাহলে কোরবানি বা সাদকা কিছুই দিতে হবে না।
২৩. হাজরে আসওয়াদে যদি সুগন্ধি লাগানো থাকে আর তাতে চুম্বন করার সময় যদি অধিক পরিমাণ সুগন্ধি মুখে বা হাতে লেগে যায়; তবে ইহরামকারীর জন্য কোরবানি ওয়াজিব হবে। আর সুগন্ধির পরিমাণ কম হলে সাদকা দিতে হবে।
আরো পড়ুন: ইসলাম মাকে দিয়েছে অনন্য মর্যাদা
২৪. ইহরাম অবস্থায় মাথা, হাত বা দাড়িতে মেহদি লাগানো নিষিদ্ধ। যদি পুরো মাথা হাত বা দাড়িতে কিংবা এক-চতুর্থাংশ পরিমাণ স্থানে লাগানো হয়। আবার মেহদির রং যদি গাঢ় না হয়ে হালকা হয় তবে একটি কোরবানি দিতে হবে। আর যদি গাঢ় হয় তবে দুটি কোরবানি দিতে হবে। কিন্তু নারীদের জন্য একটি কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব। কেননা তাদের মাথা ঢাকা নিষিদ্ধ নয়। হাতে মেহদি লাগানো নারী-পুরুষ প্রত্যেকের জন্যই কোরবানি ওয়াজিব।
২৫. শরীরের পশম বা লোম যদি কেটে ফেলে বা লোমনাশক ঔষধের দ্বারা তুলে ফেলে তবে কোরবানি দিতে হবে।
২৬. হাত বা পায়ের নখ কাটলেও কোরবানি দিতে হবে।
২৭. ইহরাম অবস্থায় স্ত্রীকে আসক্তি সঙ্গে চুম্বন বা স্পর্শ করলে কোরবানি ওয়াজিব হবে।
২৮. সাফা ও মারওয়ায় সাঈ না করলে কোরবানি ওয়াজিব হবে।
২৯. মুজদালিফায় অবস্থান তরক করলে কোরবানি দিতে হবে।
৩০. নির্ধারিত সময়ে কংকর নিক্ষেপ না করলেও কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব।
মনে রাখতে হবে
হজরত আবু হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ করল এবং অশালীন কথাবার্তা ও গুনাহ থেকে বিরত রইল সে নবজাতক শিশু যাকে তার মা এইমাত্র প্রসব করেছে, তার ন্যায় নিষ্পাপ হয়ে ফিরবে। (বুখারি ১৪৩১)
সুতরাং যারা এবার হজ করবে তাদের জন্য এখন থেকেই হজের প্রস্তুতি গ্রহণ করা জরুরি। আল্লাহ তাআলা হজ পালনে ইচ্ছুকদের হজের প্রস্তুতি যথাযথভাবে গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন।
আমিন।
এম/