শনিবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৫ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** কোটা পদ্ধতি থাকা উচিত, আন্তর্জাতিকভাবেও এটি স্বীকৃত: সারা হোসেন *** আরাকান আর্মিকে সম্পৃক্ত না করে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন অসম্ভব: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা *** দলিত সম্প্রদায়ের অবস্থার পরিবর্তনে সরকারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: আনু মুহাম্মদ *** আর্সেনিকে ধান দূষণের ঝুঁকিতে, ক্যান্সারসহ স্বাস্থ্যে প্রভাব নিয়ে যা বলছে গবেষণা *** নতুন মুসলিম রাষ্ট্র গঠন নিয়ে জোর জল্পনা-কল্পনা *** ভারতের সংখ্যালঘু ইস্যুতে বাংলাদেশের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাল দিল্লি *** বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার অঙ্গীকার প্রতিফলিত হয়েছে: পাকিস্তান *** 'পারদর্শী হয়ে উঠছে বাংলাদেশ, স্থিতিশীল হচ্ছে ঢাকা-দিল্লির সম্পর্ক' *** কবি রফিক আজাদের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটির প্রসঙ্গে যা বললেন সুলতানা কামাল *** 'মঙ্গল শোভাযাত্রা' নতুন নামে স্বীকৃতি পেতে অনুমোদনের প্রয়োজন হবে: ইউনেস্কো

হিমালয়ের মধ্যে মহাসাগরের দেখা পেলেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:৩৩ অপরাহ্ন, ১৩ই আগস্ট ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

বহু লক্ষ কোটি বছর আগে সমুদ্র থেকেই উৎপত্তি হয়েছে হিমালয়ের, এমন তথ্যই জানায় ‘মহীখাত তত্ত্ব’। বলা হয়, টার্শিয়ারি যুগে ভূ-আন্দোলনের ফলে ভূ-ভাগ দুটি পরস্পরের কাছাকাছি আসতে থাকলে টেথিস সাগরে সঞ্চিত প্রস্তরীভূত পাললিক শিলাস্তরে প্রচণ্ড পার্শ্বচাপ পড়ে।

এর ফলে ওই শিলাস্তরে ভাঁজের সৃষ্টি হয় ও তা ধীরে ধীরে ওপরে উঠে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতমালা হিমালয়ের সৃষ্টি করে। সেই হিমালয়ের মধ্যেই এবার সমুদ্র খুঁজে পেলেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। 

বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স, জাপানের নিগাটা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা হিমালয়ের পাথরের মধ্যেও খুঁজে পেয়েছেন জলের অস্তিত্ব। মনে করা হচ্ছে প্রায় ৬০০ মিলিয়ন বছর আগে এই জল পাথরের মধ্যে সঞ্চিত হয়েছিল।

এই আবিষ্কার থেকে এও জানা যে কয়েক লক্ষ কোটি বছর আগে কিভাবে জল 'অক্সিজেনেশনের' মাধ্যমে থেকে গিয়েছে সেই বিজ্ঞানও। 

প্রিক্যাম্ব্রিয়ান রিসার্চ পেপারে এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। আইআইএসসি এর সেন্টার ফর আর্থ সায়েন্সের গবেষক প্রকাশ চন্দ্র আর্য বলেন, এই জলের মধ্যে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম কার্বোনেট প্রচুর পরিমাণে রয়েছে।

মনে করা হচ্ছে ৭০০ থেকে ৫০০ মিলিয়ন বছর আগে 'গ্লেশিয়েশন' হয়েছে। এটিকে স্নো-বল আর্থ গ্লেশিয়েশনও বলা হচ্ছে। সেই সময়ই হিমালয়ের মধ্যকার সমুদ্রও হারিয়ে যায়। তবে এখনও হিমালয়স্থিত পাথরের অভ্যন্তরে সেই চিহ্ন রয়ে গিয়েছে। 

আরো পড়ুনদূরনিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করল হিজবুল্লাহ

এই ভাবনার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে স্নো-বল গ্লেসিয়েশনের ফলে সেডিমেন্টারি বেসিন যে অঞ্চলগুলি ছিল সেখানে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ মারাত্মকভাবে কমে যায়। এর ফলে সেখানে ম্যাগনেশিয়ামের পরিমাণ রেকর্ড হারে বেড়ে যায়৷

গ্লেসিয়েশনের ফলে জল ক্রিস্টাল হয়ে গেলে সেখানে 'বন্দি ' হয়ে যায় এই মৌলটি। পাথরের মধ্যে জলের  আণুবীক্ষণিক যন্ত্রে ফেলে এমনটাই দেখেছেন গবেষকরা। 

পশ্চিমে কুমায়ন হিমালয় অঞ্চল থেকে  গঙ্গোত্রী হিমবাহ এলাকা জুড়ে এই পরীক্ষানিরীক্ষা করেন গবেষকরা। এরপর গবেষণাকক্ষে পাথর এবং জলের পরীক্ষা করতে তারা বুঝতে পারেন হিমালয়ের মধ্যেই ছিল এক মহাসমুদ্র৷

এসি/ আই. কে. জে/ 


হিমালয় মহাসাগর

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন