ছবি: সংগৃহীত
দক্ষিণী চলচ্চিত্রের পরিচিত মুখ বিজয় দেবেরাকোন্ডা। বর্তমানে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছলেও প্রথম দিকে অনেক বেশি সংগ্রাম করতে হয়েছে তাকে। ১০ হাজার টাকার বিনিময়েও রাজি হয়ে যেতেন যেকোনো চরিত্রে কাজ করতে। এমনটাই জানিয়েছিলেন এক সাক্ষাৎকারে।
মঙ্গলবার (৯ মে) বিজয় দেবেরাকোন্ডার জন্মদিন। ২০১১ সালে রম-কম ছবি ‘নুভভিলা’ দিয়ে অভিনয় জীবনে পা রাখেন তিনি। ২০১৫ সালে অভিনেতা নানির সঙ্গে ‘ইয়েভেদে সুব্রহ্মণ্যম’ ছবিতে কাজ করেন। এরপর ২০১৬ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী ছবি ‘পেল্লি চোপুলু’তে অভিনয় করে সবার নজর কাড়েন। তবে বিজয় জনপ্রিয়তা পান ২০১৭ সালে মুক্তি পাওয়া সন্দীপ রেড্ডির ভাঙ্গার ছবিতে ‘অর্জুন রেড্ডি’র চরিত্রে। এই ছবিই তাকে দক্ষিণের পরিচিত নাম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
অভিনয় ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে অভিনেতা হিসেবে নিজের পরিচিতি তৈরি করার থেকেও বিজয়ের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল টাকা রোজগার। কারণ সেসময় তার অর্থের প্রয়োজন ছিল।
২০১৯ সালে ফিল্ম কম্প্যানিয়নকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকার তিনি বলেন, ‘অতীতে আমি অর্থের জন্য অনেক কিছু করেছি। এমন বহু সিনেমা আছে যেগুলো আমি অর্থের জন্যই করেছি। সেখানে ছোট ছোট চরিত্রেও কাজ করেছি। একটি মিউজিক ভিডিওতেও কাজ করেছিলাম কারণ তখন আমি বাড়ি কেনার পরিকল্পনা করছিলাম। আমার তখন টাকার অভাব ছিল, যা পেতাম তাতেই রাজি হতাম। যাতে অন্তত ১০ হাজার টাকা রোজগার করতে পারি। কারণ তখন ওটা আমার প্রয়োজন ছিল।’
আরো পড়ুন: ঈদের সিনেমায় আলোচিত বুবলি
বিজয় আরও বলেন, ‘এখন আমি প্রতিষ্ঠিত, এখন আর টাকার পেছনে দৌড়াতে হয় না। এখনো টাকা প্রয়োজন, কারণ এটা আমার পেশা। তবে এখন টাকা দিলেও আমি এমন কিছু চরিত্রে অভিনয় করব না, যেটা আমার পছন্দ নয়।’
বিজয় দেবেরাকোন্ডাকে শেষবার দেখা গেছে ‘লাইগার’ ছবিতে। পুরী জগন্নাথ পরিচালিত এ ছবিতে তার বিপরীতে ছিলেন বলিউড অভিনেত্রী অনন্যা পাণ্ডে। ছবিটি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। আগামীতে তাকে দেখা যাবে সামান্থা রুথ প্রভুর বিপরীতে ‘কুশি’ ছবিতে। ছবিটি পরিচালনা করছেন শিব নির্বাণ।
এসি/ আইকেজে
খবরটি শেয়ার করুন