ছবি: সংগৃহীত
ঘূর্ণিঝড় হামুন অতিক্রমের ২৪ ঘণ্টা পর কক্সবাজারের কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ও মোবাইল নেটওয়ার্ক সচল হয়েছে।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে কক্সবাজারে সাড়ে ৫ হাজার ঘরবাড়ি সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে। ৩৪ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা পর কক্সবাজারের কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ও মোবাইল নের্টওয়াক সচল হয়েছে।
কক্সবাজার বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল কাদের গণি বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে উপড়ে গেছে অসংখ্য বৈদ্যুতিক খুঁটি। তার ছিঁড়ে রাস্তা-ঘাট ও বসতিতে পড়ে রয়েছে। এখন হঠাৎ করে বিদ্যুতের সংযোগ দিলে প্রাণহানি ঘটতে পারে। সেজন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ৩টি সাব স্টেশন চালু করা হয়েছে। এরপর প্রধান সড়কগুলোতে কাজ শুরু হয়ে গেছে। কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে। পুরো কক্সবাজারে বিদ্যুৎ সচল হতে অন্তত দুদিন সময় লাগবে।
জেলা প্রশাসনের তথ্য বলছে, ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে তিনজনের প্রাণহানিসহ অন্তত শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে কক্সবাজার পৌরসভায় দেয়ালচাপায় একজন, মহেশখালী ও চকরিয়ায় গাছচাপায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়।
মৃতরা হলেন: কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী এলাকার খুইল্ল্যা মিয়ার ছেলে আবদুল খালেক (৪০), মহেশখালী এলাকার হারাধন দে (৪৫) ও চকরিয়া বদরখালী এলাকার জাফর আহমদের ছেলে আসকর আলী (৪৭)।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৭টার পরই ঘূর্ণিঝড় হামুন কক্সবাজারে আঘাত হানে। এতে উপড়ে যায় গাছপালা ও ঘরবাড়ি। কক্সবাজার শহরের হলিডে মোড়, সদর হাসপাতাল সড়কেই উপড়ে পড়ে গাছপালা। একইসঙ্গে বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ায় সড়কে বন্ধ যানবাহন চলাচল। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া কক্সবাজার জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনেও উপড়ে পড়েছে গাছ। ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে কক্সবাজার শহরের পাশাপাশি উপজেলাগুলোতেও একই ধরনের ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
এসকে/
খবরটি শেয়ার করুন