ছবি : সংগৃহীত
প্রায় সবাই ‘রিংওয়ার্ম’ বা ‘দাদ’ শব্দের সঙ্গে পরিচিত। এক ধরনের ফাঙ্গাল ইনফেকশন বা সংক্রমণ এটি। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না থাকলে এই সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। আবার একজনের দেহ থেকে অন্যজনের দেহেও এটি সহজে ছড়িয়ে পড়ে।
হাত-পা, পায়ের আঙুলের খাঁজ, বগল, উরু ইত্যাদি অংশে দাদের সমস্যা দেখা দেয়। প্রাথমিকভাবে ত্বকের আক্রান্ত স্থান চুলকাতে থাকে। ঠিকমতো যত্ন না নিলে এই সমস্যা আরও বাড়ে। দাদ হলে ত্বকের ওপর গোল-গোল, চাকা-চাকা দাগ তৈরি হয়। এটি লাল বা গোলাপি রঙের হয়। এই ছত্রাকের সংক্রমণ দূর করতে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি।
কিছু ঘরোয়া উপায় কাজে লাগিয়ে দাদের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। চলুন জেনে নিই বিস্তারিত-
আরো পড়ুন : কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা মিলবে গোলমরিচে
নিমপাতা
নিমের ঔষধিগুণ সম্পর্কে কমবেশি সবাই জানেন। দাদের মতো সংক্রমণ থেকে মুক্তি দিতে পারে এই উপাদানটি। নিম পাতার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। তাজা নিমপাতা বেটে সংক্রমণ স্থানে লাগাতে পারেন। এতে চুলকানির কমবে।
নারকেল তেল
ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার পাশাপাশি ত্বকের একাধিক সমস্যা রুখে দিতে সাহায্য করে নারকেল তেল। দাদ আক্রান্ত স্থানে সরাসরি এই তেল লাগাতে পারেন। এছাড়া লেমনগ্রাস ও তিলের তেলের সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে দাদের স্থানে লাগাতে পারেন। উপকার পাবেন।
হলুদ
সংক্রমণের বিরুদ্ধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে হলুদ। এটি ত্বকের একাধিক সমস্যা দূর করতে দারুণ কাজ করে। কাঁচা হলুদ বেটে সরাসরি সংক্রামক স্থানে লাগাতে পারেন। দাদ সেরে না যাওয়া পর্যন্ত আপনি হলুদ ব্যবহার করতে পারেন।
গাঁদা ফুল
দাদসহ একাধিক ত্বকের সমস্যা রুখে দিতে পারে গাঁদা ফুল। এর মধ্যে অ্যান্টি-অ্যালার্জিক ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান রয়েছে। দাদের সমস্যা হলে গাঁদা ফুলের তেল বা পেস্ট ত্বকের ওপর লাগাতে পারেন। এতে চুলকানি ও অন্যান্য সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
এস/ এসি
খবরটি শেয়ার করুন