ছবি: সংগৃহীত
সৌদি আরবে বসবাসরত কর্মজীবীদের জন্য দারুণ এক সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে দেশটির সরকার। সৌদিতে এখন থেকে কেউ চাইলেই একসাথে দুটি চাকরি করতে পারবে। এমনকি নিয়োগকর্তার অনুমতি ছাড়াই করা যাবে বিদেশ ভ্রমণ। ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নে এমন কোনো উদ্যোগ নেই যা নিচ্ছেন না সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান।
এতে করে কর্মক্ষেত্রে দারুণ সুযোগ পাচ্ছেন কর্মজীবীরা। সৌদি আরবের মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কর্মজীবীরা দেশটিতে একসাথে দুটি চাকরি করতে পারবেন। প্রাইভেট সেক্টরে কাজ করা লোকদের একত্রে দুটি চাকরি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কর্মীর চুক্তিপত্র ও আইনগতভাবে তার সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। ফলে এখন থেকে আর কর্মীদের একসাথে দুটি চাকরি করার ওপর কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা থাকছে না।
ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সৌদি আরব নিজেদের চাকরির বাজার ঢেলে সাজাচ্ছে। এমনকি তারা তাদের এ বাজারকে আরো প্রতিযোগিতামূলক ও আকর্ষণীয় করে তুলছে। উন্নয়নমূলক বিভিন্ন খাতের পৃষ্ঠপোশকতা বাড়াতে ব্যাপক সংস্কার করেছে দেশটি।
এ সংস্কারের অধীনে অভিবাসী কর্মীরা প্রতিবছর নিয়োগকর্তার অনুমতি ছাড়াই দেশের বাইরে আসা-যাওয়ার সুযোগ সুবিধা পাবেন। এ ছাড়া এ নীতির আওতায় অভিবাসী শ্রমিকরা বিদেশে ভ্রমণের জন্যও নিয়োগকর্তার অনুমতি ছাড়া বিদেশে যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
সব শেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশটিতে বর্তমান জনসংখ্যা ৩ কোটি ৬০ লাখের কাছাকাছি। এর মধ্যে বাংলাদেশিসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী রয়েছেন। তারা কৃষি, আবাসন, প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন পেশায় কর্মরত আছেন।
সৌদি আরবের প্রধান আয়ের উৎস তেল বিক্রি। তবে সম্প্রতি তারা ভিন্ন খাতেও মনোযোগ দিয়েছে। বিশেষ করে পর্যটন খাতকে আরো সমৃদ্ধ করতে চান সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান।
এসকে/
খবরটি শেয়ার করুন