সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৯ই পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:০৭ পূর্বাহ্ন, ২৪শে নভেম্বর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

প্যালেস্টাইনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৭টা থেকে এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেন, শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হবে। ১৩ জন জিম্মি সন্ধ্যায় মুক্তি পাবেন। এই সময়ের মধ্যে জিম্মিদের মধ্যে যারা একই পরিবারের তাদের একত্রিত করা হবে। ৪ দিনের মধ্যে ৫০ জিম্মিকে মুক্তি দেয়ার যে চুক্তি হয়েছে সেটি অনুযায়ী প্রতিদিন নতুন করে আরো বেসামরিক জিম্মিকে যুক্ত করা হবে।

তিনি বলেন, হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে দিনব্যাপী যে আলোচনা হয়েছে সেটি আজ সকালে কার্যকর হয়েছে। এতে যুক্ত ছিল মিসর এবং যুদ্ধের অন্যান্য পক্ষগুলো। আলোচনা ভালোভাবে হয়েছে এবং আলোচনার পরিবেশ ইতিবাচক ছিল। আলোচনার ফলাফল অবশ্যই ছিল যুদ্ধবিরতির চুক্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা। আমরা সবসময় বলেছি এমন কিছু প্রয়োজনীয় যেটি বাস্তবসম্মত এবং জিম্মিদের মুক্তির ক্ষেত্রে একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করবে।

এদিকে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, এই সাময়িক যুদ্ধবিরতি শেষ হয়ে যাওয়ার পরপরই ইসরায়েলের সশস্ত্রবাহিনী হামাসের বিরুদ্ধে আরো অন্তত দুই মাস তীব্র লড়াই চালিয়ে যাবে।

তিনি আরো বলেন, আগামী কয়েক দিনে প্রথম যে বিষয়টি আপনার দেখবেন তা হলো- জিম্মিদের মুক্তি। তবে বিষয়টি নিয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলার সুযোগ নেই। এটি কেবলই সাময়িক বিরতি।

আরো পড়ুন: শুক্রবার সকাল থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি

ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর গত দেড় মাসের গোলা বর্ষণে উপত্যকার ৪৫টি বাসভবন ১০২টি সরকারি ভবন, ২৬৬টি স্কুল এবং ৮৫টি মসজিদ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২ লাখ ৩৩ হাজার বাসভবন, ১৭৪টি মসজিদ এবং ৩টি গির্জা।

এছাড়া গাজার ২৬টি হাসাপাতাল এবং ৫৫টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র আর স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার মতো অবস্থায় নেই বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে প্রশাসনিক কার্যালয়।

গত ৭ অক্টোবর ভোরে ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত বেড়া ভেঙে ইসরায়েলে প্রবেশ করে নির্বিচারে সামরিক-বেসামরিক লোকজনকে হত্যা করে তারা। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে।

সূত্র: আল জাজিরা

এসকে/ 

গাজা যুদ্ধবিরতি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন