বৃহস্পতিবার, ২৪শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৯ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া *** ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কিনতে রিটার্ন লাগবে না *** ঝুঁকিপূর্ণ সব ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইসিকে চিঠি *** বাংলাদেশ ব্যাংকে নারীদের শর্ট স্লিভ ড্রেস ও লেগিংস নিষেধ, পরতে হবে শালীন পোশাক-হিজাব *** সচিবালয়ে ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ১২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা *** জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ঐতিহাসিক রায় দিলেন বিশ্ব আদালত *** প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিমানবাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ *** এইচএসসির স্থগিত পরীক্ষা একই দিনে হচ্ছে না, নতুন রুটিন প্রকাশ *** বাগমারা বিদ্যালয়ের নাম বদল, নতুন নাম শহীদ জিয়া বিদ্যালয় *** মতপার্থক্য থাকলেও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্য আরও দৃশ্যমান করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

গাজায় শান্তির জন্য যে শর্ত দিলেন নেতানিয়াহু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২৭শে ডিসেম্বর ২০২৩

#

ছবি : সংগৃহীত

প্যালেস্টাইনের গাজা উপত্যকায় শান্তি স্থাপনের জন্য ৩টি পূর্বশর্ত দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এই পূর্বশর্তগুলো হলো, ‘হামাসকে ধ্বংস করা’, ‘গাজাকে নিরস্ত্রীকরণ করা’ এবং ‘প্যালেস্টাইনি সমাজ থেকে ইহুদিদের প্রতি বিদ্বেষ ও ঘৃণামূলক মনোভাব দূর করা’।

সম্প্রতি বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গণমাধ্যমে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ সম্পর্কে একটি কলাম লিখেছেন। প্রকাশিত কলামে এসব পূর্বশর্ত উল্লেখ করেছেন। 

আরো পড়ুন: যুদ্ধ বন্ধে নতুন পরিকল্পনা মিসরের

কলামে নেতানিয়াহু মন্তব্য করেছেন, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের পর পশ্চিমতীরে ক্ষমতাসীন প্যালেস্টাইনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) গাজা শাসন করতে পারবে বলে মনে করেন না তিনি। কারণ পিএ’র সেই সক্ষমতা নেই।

প্রথম পূর্বশর্ত, অর্থাৎ ‘হামাসকে ধ্বংস করা’ সম্পর্কিত ব্যাখ্যায় নেতানিয়াহু বলেন, ‘গাজায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর চলমান অভিযানের মূল উদ্দেশ্য হামাসকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করা। আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি এবং অন্য অনেক দেশ উদ্দেশ্যকে সমর্থন করেছে। তারাও চায়, এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী শেষ হোক। গাজায় হামাসের শাসন অবসান এবং তাদের সামরিক সক্ষমতা সর্ম্পূর্ণ নষ্ট করার মাধ্যমেই এই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব।’

দ্বিতীয় শর্ত ‘গাজাকে নিরস্ত্রিকরণ করা’র ব্যাখ্যায় নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘আমরা চাই না যে গাজা উপত্যকা হামলাকারীদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হোক। এ কারণে উপত্যকার পরিসীমা বা সীমান্তে একটি সাময়িক নিরাপত্তা জোন স্থাপন করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে গাজা ও মিসরের মধ্যে যে সীমান্তপথ রয়েছে, সেই রাফাহ ক্রসিংয়ে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো জরুরি। কারণ গাজায় অস্ত্রের চালান ঢোকে মূলত এই সীমান্ত দিয়েই।

‘আমরা যদি প্রত্যাশা করি যে (যুদ্ধ অবসানের পর) পিএ গাজায় এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করবে, তাহলে সেটি হবে দিবাস্বপ্ন। কারণ পিএ’র সেই সক্ষমতা কিংবা ইচ্ছে— কোনোটাই নেই।’

কলামে উল্লিখিত তৃতীয় পূর্বশর্তের ব্যাখ্যায় নেতানিয়াহু বলেন, ‘প্যালেস্টাইনের স্কুলগুলোতে বাচ্চাদের অবশ্যই এটা শেখাতে হবে যে মৃত্যুর চেয়ে বেঁচে থাকা অনেক মূল্যবান । সেখানের ইমামরা সবসময় তাদের ধর্মীয় বক্তব্যে ইহুদিদের হত্যার পক্ষে উসকানি দেন— এটা বন্ধ করতে হবে। সেই সঙ্গে সাধারণ জনগণ যেন সন্ত্রাসবাদে অর্থের যোগান দেওয়ার পরিবর্তে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইকে সমর্থন করে— সেজন্যও সে দেশের সুশীল সমাজকে কাজ করতে হবে।’

সূত্র : টাইমস অব ইসরায়েল

এইচআ/ এসি

 

যুদ্ধবিরতি নেতানিয়াহু শর্ত

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন