রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৮ই পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে রাহাত ফতেহ আলী খানের সৌজন্য সাক্ষাৎ *** সাধারণ মানুষ সংস্কার বোঝে না, তারা বোঝে যেন ভোট ঠিকভাবে দিতে পারে : ফখরুল *** বাংলাদেশকে আরও ৪০ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক *** নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চলবে : পরিবেশ উপদেষ্টা *** ‘মহাকালের পাতায় হাসান আরিফের কৃত্তি লেখা থাকবে’ *** দুদক চেয়ারম্যান নিজের সম্পদের হিসাব দিলেন *** ওয়েজ বোর্ড সিস্টেম বাতিল করে সাংবাদিকদের নূন্যতম বেতন চালু করা উচিত : শফিকুল আলম *** রেমিট্যান্সে সুখবর : ২১ দিনেই এলো ২০০ কোটি ডলার *** রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ আটকানো খুব কঠিন হয়ে পড়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা *** সন্ধ্যার মধ্যেই ৩ বিভাগে নামবে বৃষ্টি!

আপনি কি বিশ্বের সুখী মানুষদের একজন?

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:৩৪ অপরাহ্ন, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৩

#

ছবি : সংগৃহীত

আমরা অনেকেই মনে করি সুখের চাবিকাঠি মানে হলো জীবন পরিবর্তন করা। আমরা ভুলে যাই যে সুখ আমাদের প্রতিদিনের করা ছোট ছোট কাজ থেকে আসে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কিছু ছোট অভ্যাস জীবনের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে। যা আমাদের সুখী এবং প্রফুল্ল মানুষে পরিণত করে তুলতে পারে। সেই ক্ষুদ্র কাজগুলোই সুখের আসল চাবিকাঠি হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন কাজগুলো আপনাকে সুখী করবে-

১. ইতিবাচক মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক

সব সময় ইতিবাচক মানুষের আশেপাশে থাকার চেষ্টা করুন। সঠিক সঙ্গ সবসময় গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি আমাদের আত্মবিশ্বাস তৈরি করতে সাহায্য করে। ইতিবাচক এবং সহায়ক পরিবেশ পেলে তা আমাদেরকে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ এবং সদয় হতে সাহায্য করে। এভাবে আমাদের মধ্যে ইতিবাচক গুণ সৃষ্টি হয়। ইতিবাচক মনোভাব আমাদেরকে আরও ভালো মানসিকতার সঙ্গে জীবনে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সাহায্য করে।

২. প্রতিদিন ব্যায়াম

ভাবছেন, সুখী হওয়ার সঙ্গে ব্যায়ামের কী সম্পর্ক? নিয়মিত ব্যায়াম করলে তা আপনাকে সব সময় ভাল বোধ করতে সাহায্য করবে। এটি আপনাকে সুস্থ রাখতেও কাজ করবে। ব্যায়াম করলে তা চাপ কমাবে এবং স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাবে। এই অভ্যাস আপনাকে আরও ভালো ঘুম এনে দিতে সাহায্য করবে। ফলে আপনি পরদিন আরও শক্তি নিয়ে কাজ করতে পারবেন। আলাদা করে জিমে যাওয়ার সময় না পেলে নিয়মিত হাঁটা বা দৌড়ের অভ্যাস করুন। এই অভ্যাস আপনাকে দিন শেষে একজন সুখী মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে।

৩. প্রার্থনা ও মেডিটেশন

প্রার্থনা আপনাকে মানসিক প্রশান্তি দেবেন। আবার মেডিটেশনও আপনাকে শান্ত রাখতে কাজ করবে। বেশ কিছু গবেষণা অনুসারে, মেডিটেশন আমাদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। যার ফলস্বরূপ আমরা চাপের পরিস্থিতিতেও শান্ত থাকতে পারি। এমনকি কয়েক মিনিটের জন্য গভীরভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার অভ্যাসও আপনার চাপ কমাতে পারে এবং মেজাজকে উন্নত করে। ফলে বাড়ে কাজে মনোযোগ এবং সামগ্রিক সুস্থতা। যা সুখী হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয়।

৪. কৃতজ্ঞ থাকা

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার অভ্যাস আপনাকে আরও সুখী করে তুলবে। কারণ কৃতজ্ঞতা হলো এমন একটি আবেগ যা আমাদের মনকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। সেইসঙ্গে এটি সুখী হওয়ার আবেগকেও বাড়িয়ে তোলে। অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হোন। আপনার যা আছে এবং আপনি যা করেছেন তার জন্য সন্তুষ্ট থাকুন। নিজের কৃতিত্বের জন্য গৌরব করা বন্ধ করুন। এর পরিবর্তে আপনার জীবনে যা আছে তার জন্য কৃতজ্ঞ হোন। এটি জীবনের প্রতি একটি ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করতে সাহায্য করবে।

৫. হাসিখুশি থাকুন

নিজেকে একজন হাসিখুশি মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন। অন্যদের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করুন। নিজের ভালোলাগার কাজগুলো করুন। বিভিন্ন উপায়ে আপনার কাজগুলোকে আরও আনন্দদায়ক করুন এবং জীবনের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রাখার চেষ্টা করুন। দৈনন্দিন রুটিনে আনন্দদায়ক কাজগুলো যোগ করে সুখের ভাগ বাড়াতে পারেন।

এস/ আই. কে. জে/ 


সুখী মানুষ একজন

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন