ছবি : সংগৃহীত
শীত এলে বাহারি রঙের শাল, সুয়েটার, জ্যাকেট গায়ে দিয়ে শীত তাড়ানো হয়। খেয়াল করে দেখবেন, গরমের তুলনায় শীতের পোশাক বেশি রঙচঙা হয়। কখনো কি মনে প্রশ্ন জেগেছে, কেন এমনটা হয়? এর পেছনেও কিন্তু রয়েছে পদার্থবিজ্ঞানের ব্যাখ্যা। বিশেষত তাপগতি বিদ্যার।
রঙের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে তাপের। সব রঙের জিনিসের তাপ ধারণ ক্ষমতা এক নয়। সবচেয়ে বেশি তাপ ধারণ বা তাপ শোষণ করতে পারে কালো রঙের জিনিস। অর্থাৎ কালো রঙ থেকে তাপ খুব কম প্রতিফলিত হয়।
অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি তাপ প্রতিফলিত করে সাদা রঙের জিনিস। অর্থাৎ সাদা রঙের তাপ শোষণ ক্ষমতা সবচেয়ে কম। এই তাপ শোষণের বিষয়টি পোশাকের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
এজন্য শীতকালে সবচেয়ে আরামদায়ক হবে কালো রঙের পোশাক। এ সময় সাদা রঙের পোশাক কম আরামদায়ক। অন্যান্য রঙের পোশাকও বেশ তাপ শোষণ করতে পারে। তাই শীতে যে কেবল কালো পোশাকই পরতে হবে, এমনটা নয়। চাইলে যে কোনো গাঢ় রঙের পোশাক পরতে পারেন।
শীতের দুপুর কিংবা বিকেলে বেছে নিতে পারেন তিন বা চারটি উজ্জ্বল ও গাঢ় রঙের শেডের নকশার করা পোশাক। শীতের পোশাক হিসেবে কালো, গাঢ় নীল, ঘন সবুজ রঙ বেশি উপযুক্ত। চাইলে একরঙা পোশাকের সঙ্গে ফ্লোরাল স্কার্ফ বা শাল বেছে নিতে পারেন।
ডিজাইনারদের মতে, প্রকৃতির ধূসরতা কাটাতেই পোশাকের রংঢঙে এত কারসাজি।
এস/ আই. কে. জে/
খবরটি শেয়ার করুন