বৃহস্পতিবার, ৯ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** রাজশাহীতে আ.লীগ নেতার তিন ছেলে-মেয়ের জামিন *** খাগড়াছড়িতে ধর্ষণ ও হামলার ঘটনায় আজ তথ্যানুসন্ধান দল পাঠাচ্ছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি *** শ্রমবাজার সম্প্রসারণে ভিসা জটিলতা দূর করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার *** ৭ বছর পর জিয়াউর রহমানের সমাধির পাশে খালেদা জিয়া *** একাধিক দেশের পাসপোর্টধারী ও নাগরিক বলে কাকে ইঙ্গিত করলেন উপদেষ্টা *** তেজগাঁওয়ে হোলি রোজারি চার্চের সামনে বুধবার যা ঘটল *** ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠান বন্ধের চেষ্টা, পুলিশের হস্তক্ষেপ *** দুদকের মামলার আসামি হওয়ার একদিন পর ট্রাইব্যুনালের ‘বিচারক’ *** ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের বক্তব্য ‘অযৌক্তিক’: তৌহিদ হোসেন *** ১৫–১৮ই নভেম্বরের মধ্যে গণভোট সম্ভব, হিসাব দিলেন জামায়াত নেতা তাহের

কারাগারে পাহারা দিচ্ছে রাজহাঁস!

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৩:০৪ অপরাহ্ন, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৩

#

কারাগারে পাহারা দিচ্ছে রাজহাঁস। ছবি: সংগৃহীত

কারাগারের ভেতরে আটক অপরাধীদের পাহারা দিচ্ছে এক ঝাঁক রাজহাঁস। ব্রাজিলের সাও পেদ্রো অ্যালকান্তারা কারাগার পাহারায় কাজ করেছে রাজহাঁসের একটি দল। তারাই জেলের পাহারাদার। তাদের অতন্দ্র প্রহরায় জেল থেকে পালানোর উপায় নেই।

ব্রাজিলের এ বিশেষ কারাগারটিতে এত দিন  কুকুরসহ অন্যান্য প্রাণী এ কাজে নিয়োজিত ছিল। সম্প্রতি সেগুলো সরিয়ে নিয়ে আনা হয়েছে হাঁসগুলোকে।

দক্ষিণ ব্রাজিলের সান্টা ক্যাটারিনা প্রদেশে অবস্থান এই সাও পেদ্রো দে অ্যালকান্তারা কারাগার। জায়গাটি নির্জন  হওয়ায় হাঁসের পক্ষে উপযোগী বলে জানায় কারা কর্তৃপক্ষ। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রাজিলের ওই জেলের কর্মচারীদের দাবি, কুকুরের চেয়ে রাজহাঁসের মধ্যে পাহারা দেয়ার ক্ষমতা ও তৎপরতা অনেক বেশি।

জেল পরিচালক মার্কোস রবার্টো ডিসুজা জানিয়েছেন, তাদের জেলে তিন স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। কয়েদিরা যাতে জেল থেকে পালাতে না পারে, সেজন্য চলে কড়া নজরদারি। জেলটিতে প্রথমে রয়েছে বৈদ্যুতিক নিরাপত্তার জাল। তা পার হতে পারলে রয়েছে মানুষের নিরাপত্তা। অর্থাৎ, জেলের নিরাপত্তারক্ষীরা কড়া নজর রাখেন কয়েদিদের উপর। এর পরের ধাপেই রয়েছে রাজহাঁসের নজরদারি। আগে যেখানে ছিল কুকুর। কর্তৃপক্ষের মতে, তৃতীয় ধাপের এই নিরাপত্তা ব্যবস্থাই সবচেয়ে শক্তিশালী।

পাহারাদার রাজহাঁসদের নেতৃত্ব দেয় পিউ-পিউ। ধবধবে সাদা পালকের ওই রাজহাঁসটির তৎপরতা যেন অন্যদের চেয়ে খানিক বেশি। ডাকলে সবার আগে সে-ই সাড়া দেয়। কুকুরের পরিবর্তে জেলে রাজহাঁস নিয়ে আসার অন্যতম কারণ অবশ্য কুকুরের পরিচালন ব্যয়। কুকুর পরিচর্যায় যে পরিমাণ খরচ হয়, তার চেয়ে রাজহাঁসদের দেখাশোনার খরচ অনেক কম।

মানুষের চেয়ে পাখিদের দৃষ্টিশক্তি অনেক বেশি। অতিবেগুনি রশ্মিও তারা দেখতে পায়। রাজহাঁসের ডাক অত্যন্ত জোরালো। ফলে যেকোনো সময়ে তা মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম। মানুষের চেয়ে বেশি দেখতে এবং শুনতে পেলেও সব পাখি কিন্তু তাতে প্রতিক্রিয়া জানায় না। রাজহাঁসেরা স্বভাবগতভাবে প্রতিক্রিয়াশীল। তারা যা দেখতে বা শুনতে পাচ্ছে, তাতে চিৎকার করে, ডানা ঝাপটিয়ে প্রতিক্রিয়া জানায়।

রাজহাঁসের এই নানা ইতিবাচক দিকের কথা মাথায় রেখে তাদের নিয়ে আসা হয়েছে ব্রাজিলের জেলে। এখনও পর্যন্ত তাদের কাজে কোথাও কোনও গলদ ধরা পড়েনি। বরং প্রত্যাশা মতোই কুকুরের চেয়ে ভাল কাজ করে চলেছে পিউ-পিউ ও তার দলবল। 

সূত্র: রয়টার্স

ওআ/

কারাগার রাজহাঁস

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250