ফাইল ছবি (সংগৃহীত)
বঙ্গোপসাগরে মিধিলির পর সৃষ্টি হতে চলেছে আরেকটি ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’। বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের উপকূলে এর প্রভাব পড়তে পারে। চলতি বছরে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া চতুর্থ ঘূর্ণিঝড় হবে এটি।
এ বিষয়ে ভারতের আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে সাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। যা আগামী সোমবার আরও কিছুটা গভীর হয়ে অতি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ‘রোববার (২৬ নভেম্বর) দক্ষিণ আন্দামান সাগরের কাছে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। যা পশ্চিমবঙ্গ থেকে অনেকটা দূরে অবস্থিত। সেই সম্ভাব্য নিম্নচাপ আরও শক্তি বাড়িয়ে সোমবার (২৭ নভেম্বর) দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।’
দ্য মিন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মে মাসে মৌসুমি বৃষ্টি সাধারণত সাইক্লোন সংখ্যা বাড়ানোর অনুকূলে কাজ করে। নভেম্বরের মৌসুমি বৃষ্টি পরবর্তী সময়ের আবহাওয়া পরিস্থিতিতেও একই ভূমিকা রাখে।
সাধারণত এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর সময়ে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতেও বঙ্গোপসাগরে এ ঝড় সৃষ্টি হওয়ার মতো অবস্থা বিরাজ করছে।
যে নিম্নচাপ তৈরি হবে, সেটা কি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে, ওই সম্ভাব্য গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে কি না— সে বিষয়ে ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে মডেল অনুযায়ী, ডিসেম্বরের শুরুতে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে। যদি শেষ পর্যন্ত ওই সম্ভাব্য নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তাহলে সেটির নাম হবে মিগজাউম।
বঙ্গোসাগরে চলতি বছর এ ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হলে সেটির নাম হবে মিচাহং, তবে উচ্চারণ করতে হবে মিগজাউম। মিয়ানমার এই নাম প্রস্তাব করেছে। তবে স্থানভেদে ঘূর্ণিঝড়ের এ নাম পরিবর্তন হতে পারে।
ওআ/
খবরটি শেয়ার করুন