ছবি: সংগৃহীত
আরব অঞ্চলকে সংঘাতময় করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন সৌদির ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান। আরব লিগের ৩২তম সম্মেলনের উদ্বোধনকালে সালমান বলেন, পূর্ব-পশ্চিমের বন্ধু দেশগুলোকে আশ্বস্ত করে বলতে চাই আমরা শান্তির দিকে অগ্রসর হচ্ছি। আমাদের অঞ্চলকে সংঘাতময় করার অনুমোদন দেওয়া হবে না।
বক্তব্যে মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, বিভিন্ন ধরনের সংঘাতে আরব অঞ্চল জর্জরিত। যা আমাদের জন্য যথেষ্ট হয়েছে। সংঘাতের কারণে এ অঞ্চলের মানুষ ভুক্তভোগী, উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত। প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান আরব বিশ্বের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে বলেন, আরব রাষ্ট্রগুলোর পর্যাপ্ত সাংস্কৃতিক সক্ষমতা ও প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে।
তাছাড়া সিরিয়া ফের আরব লিগে ফেরায় সৌদির প্রিন্স প্রেসিডেন্ট বাশার-আল আসাদকে স্বাগত জানিয়েছেন। এর ফলে সিরিয়ার সংকট কাটবে বলেও আশা করেন তিনি।
সৌদি প্রিন্স বলেন, ফিলিস্তিনের ইস্যু সব সময়ই আরব রাষ্ট্রগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং এখনো রয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার আরব লিগের সম্মেলনে যোগ দিতে সৌদির বন্দর নগরী জেদ্দায় পৌঁছান বাশার আল আসাদ। সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানিয়ে তাকে আলিঙ্গন তার সঙ্গে করমর্দন করেন। সৌদি আরবের জেদ্দায় আরব লিগের সম্মেলনে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। শুক্রবারের এ বৈঠকের শুরুতে সৌদি আরবের যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান আসাদকে স্বাগত জানিয়ে তাকে আলিঙ্গন ও করমর্দন করেন। আরব লিগের নেতারা বছরের পর বছর আসাদকে এড়িয়ে চলেছেন। কিন্তু সম্প্রতি নীতি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে শত্রুতার পালটা উলটিয়ে আসাদকে ফের নিজেদের মধ্যে ফিরিয়ে এনেছেন তারা, যিনি সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে শিয়া ইরান ও রাশিয়ার প্রত্যক্ষ সমর্থনে তার শত্রুদের পরাজিত করেন; কিন্তু আরব দেশগুলোর এই নীতি পরিবর্তনের বিরোধিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য পশ্চিমা শক্তিগুলো।
এই সম্মেলন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমিরি জেলেনস্কির উপস্থিতি ও যুবরাজ মোহাম্মদের ইউক্রেন যুদ্ধে মধ্যস্থতা করতে রিয়াদের প্রস্তুতির উল্লেখ বিশ্বমঞ্চে সৌদি আরবের প্রভাব বিস্তারের প্রচেষ্টাকে আরো ভালোভাবে তুলে ধরেছে। এক সময় যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত তেল সম্পদে সমৃদ্ধ সৌদি আরব গত বছর আরব বিশ্বের কূটনৈতিক নেতৃত্ব গ্রহণ করেছে। সুন্নি প্রধান দেশটি আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী শিয়া প্রধান ইরানের সঙ্গে ফের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে, সিরিয়াকে আরব লিগে ফিরিয়ে এনেছে এবং সুদানের সংঘাতে মধ্যস্থতা করছে। এখন আসাদ ইরানের সঙ্গে দূরত্ব তৈরির পদক্ষেপ নেবেন বলে আশা করছে অনেক আরব দেশ।
আরো পড়ুন: আমি কেন দেশ ছাড়ব : ইমরান খানের প্রশ্ন
সম্মেলনে আসাদ বলেন, আরববাদ সিরিয়ার অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ। কিন্তু জেদ্দায় তিনি কয়েক দশকের ঘনিষ্ঠ মিত্র তেহরানের বিষয়ে কিছু বলেননি, তবে পরোক্ষভাবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তায়িপ এরদোয়ানের সমালোচনা করেন। এরদোয়ান সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সমর্থন জোগাচ্ছেন এবং সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুরস্কের বাহিনী পাঠিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন।
এম/
খবরটি শেয়ার করুন