ছবি: সংগৃহীত
ঝিনাইদহর শৈলকূপা থানা ও হরিণাকুণ্ড থানার ওসির নির্লিপ্ততা ও দায়িত্বে অবহেলা প্রমাণিত হওয়ায় প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
শনিবার (২৩শে ডিসেম্বর) দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সরকারি দলের প্রার্থীদের আপনারা আচরণবিধি মানাতে পারছেন না, স্বতন্ত্ররা দাঁড়াতে পারছে না, কেন ব্যর্থ হচ্ছেন— গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে চাইলে অশোক বলেন, আচরণবিধির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যে কোনো ধরনের অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে আসবে। ভিডিও ক্লিপ বা যেখান থেকেই আসুক না কেন, সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার ও পুলিশ সুপারের কাছে পাঠানো হবে এবং তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজশাহী ও ঝিনাইদহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থীদের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এদিন বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন।
সে প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অশোক বলেন, দায়িত্ব পালনে নির্লিপ্ততার কারণে ঝিনাইদহের শৈলকুপা ও হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। ওখানে যে ঘটনা ঘটেছে, তদন্ত প্রতিবেদনে তাদের নির্লিপ্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে। রাজশাহীতে যেহেতু মামলা হয়েছে, তদন্তাধীন। এখনো অভিযোগপত্র দেয়নি, সে কারণে সিদ্ধান্ত হয়নি। যশোরেও মামলা হয়েছে।
এত রদবদলের পরে কেন নির্লিপ্ত জানতে চাইলে তিনি বলেন, গণহারে তো নির্লিপ্ততা নেই। দুএকটা বিক্ষিপ্ত যেসব ঘটনা আছে, সেখানে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরো পড়ুন: কারচুপির চেষ্টা হলে কেন্দ্রের ভোট বন্ধ : সিইসি
ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আপনারা অচিরেই কোনো একটি দৃশ্যমান তথ্য আপনারা পাবেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অনেক জায়গায় দাঁড়াতেই পারছে না, তারা সরকারি দলের চাপে আছে। এই চাপমুক্ত করে তাদের অবাধ প্রচারণার সুযোগ দিতে কী করছেন জানতে চাইলে অশোক বলেন, কমিশন নির্দেশ দিয়েছে, কারও প্রতি যেন পক্ষপাতমূলক আচরণ না হয়। অচিরেই দেখবেন তারা বাধাহীনভাবে প্রচারণা চালাতে পারবে।
কমিশন কী ব্যবস্থা নিচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের কারণ দর্শাতে বলা হবে, মামলা হতে পারে এবং প্রার্থিতাও বাতিল হতে পারে।
এসকে/
খবরটি শেয়ার করুন